এবার কোচ কোচ ওটিস গিবসনকে নিয়ে ঝামেলায় আছে স্বাগতিকরা। ছন্দে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা তো করবেই। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে গ্রেনাডার বিপক্ষে বড় জয় ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশকে হারানো কঠিনই হবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
বুধবার গ্রেনাডার সেন্ট জর্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে সাতটায়।
ছন্দেই আছেন এনামুল হক; প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম ইকবালও রান পাওয়াও উদ্বোধনী জুটি নিয়ে খুব একটা দুর্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন।
ইমরুল কায়েস, শামসুর রহমান ও মুমিনুল হকের যে কোনো একজন সুযোগ পেতে পারেন প্রথম ওয়ানডেতে।
বিসিবির ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দল সাজানো নিয়ে একটু বেশিই ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজেও সাকিবকে ছাড়াই খেলতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এর আগে ২০০৯ সালে সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
আল-আমিন, তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেনের যে কোনো দুজন হতে পারেন মাশরাফির সঙ্গী।
অধিনায়ক ডোয়াইন ব্র্যাভো, ক্রিস গেইল, কাইরন পোলার্ড, কেমার রোচরা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তি অনেকটাই বেড়েছে। তবে মুশফিকের জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা বাংলাদেশ দলের ছন্দপতন। চলতি বছরে এখনো ওয়ানডেতে কোনো জয় পায়নি তার দল।
বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর এশিয়া কাপেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে চার ম্যাচেই সেখানে হেরেছে স্বাগতিকরা, যার একটি আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ তিন ওয়ানডে সিরিজের দুটিতেই জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে নামবে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩-০ আর ২০১২ সালে ঘরের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। মাঝখানে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে ২-১ ব্যবধানে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জিম্বাবুয়ে ও নিউ জিল্যান্ডের পর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই সবচেয়ে সফল বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে খেলা ২৫টি ওয়ানডের ৭টিতে জিতেছে তারা, হেরেছে ১৬টিতে আর পরিত্যক্ত হয়েছে অন্য দুটি ম্যাচ।