২০১২ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারদের মনোবিদের ক্লাসে ডেকেছে বিসিবি। এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্ন ভুলে ছন্দে ফিরতে তিন দিন পরামর্শ নেবেন ক্রিকেটাররা।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ভবনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রথম সেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আজহার।
“স্নায়ু চাপ, মিডিয়ার চাপ, জনগণের চাপ, প্রত্যাশার চাপ, ক্যারিয়ারের চাপ, এগুলো অনেক সময় ভালো পারফরম্যান্সে সহায়তা করছে না। এগুলো তো থাকবেই, উধাও করে দেয়া যাবে না। এগুলো থাকার পরও কিভাবে সঠিকভাবে মনোযোগ ধরে রাখা যাবে তা নিয়েই কাজ করছি।”
খেলোয়াড়দের পরবর্তী লক্ষ্য ঠিক করার দিকে জোর দিচ্ছেন এই মনোবিদ।
“নিজেকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নিজেকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আগে অর্জন করতে পারেননি এমন কিছুকে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। আমি এটাই ওদের বলার চেষ্টা করছি।”
ছন্দ হারিয়ে ফেললে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এটাকে খুব সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখছেন আজহার।
“একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার পাঁচ দিন বা পাঁচ মিনিটে খেলা ভুলে যেতে পারে না। মানসিকভাবে ঠিক অবস্থায় না থাকায় বা আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি হলেই কেবল এমন হতে পারে। আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে এটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি।”
আজহার জানান, ক্রীড়া মনোবিদের কাজের পাশাপাশি কানাডায় পেশাদার টেনিস কোচ হিসেবেও কাজ করেন তিনি। তার ফাঁকেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খোঁজ খবর নিয়মিতেই রাখেন।
“আমি তো আজকে থেকে ওদের চিনি না। অনেক দিন থেকেই ওদের খেলা দেখি, ওদের বিশ্লেষণ করি।”
মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের প্রভাব খেলার ফলাফলে পড়ছে বলে মনে করেন আজহার। তিনি জানান, তিন দিনের এই সেশন যথেষ্ট নয়। ধরাবাহিকতা ধরে রাখতে ভবিষ্যতে বিসিবিকে এ ধরনের আরো সেশনের উদ্যোগ নিতে হবে।
শুক্রবার প্রতিটি খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলাদা করে বসবেন তিনি। কানাডায় ফেরার আগে মহিলা ক্রিকেটারদের সঙ্গেও একটি সেশন রয়েছে।