মঙ্গলবার আইপিএলে স্পট ফিক্সিং ও বেটিং কেলেংকারির নিয়ে আরো তদন্তের জন্য সাবেক বিচারপতি মুকুল মুডগালকে দায়িত্ব দিতে চাইলে তিনি তাতে রাজি হন। আদালত তাকে তদন্তে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থাগুলোর তালিকা দিতে বলেছেন।
এর আগে মুডগাল কমিটি সিল করা খামে আদালতের কাছে কেলেংকারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৩ জনের তালিকা দিয়েছিল, যার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়া এন শ্রীনিবাসনও আছেন।
এর আগে পরবর্তী ধাপের তদন্তের জন্য ভারতের ক্রিকেট বোর্ড কমিটির সদস্যের যে নামগুলো জমা দিয়েছিল তা প্রত্যাখান করে একে পাটনায়েক ও ইব্রাহিম খলিফুল্লাহর বেঞ্চ।
বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবিত কমিটিতে ছিলেন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) সাবেক প্রধান আরকে রাঘবন, কলকাতা হাই কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি জেএন প্যাটেল এবং ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রী।
গত ১৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইপিএলের নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিতে গঠনমূলক ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা বের করতে বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়। এরপর গত রোববার বিসিসিআইয়ের সভায় কমিটির সদস্যদের ঠিক করা হয়েছিল।
গত বছরের অক্টোবরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের সাবেক বিচারপতি মুডগালের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিকে আইপিএল কেলেংকারি নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চার মাসের তদন্ত শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুডগাল কমিটি আদালতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীশান্তসহ রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অনেকের পরিচয় ফাঁস হতে থাকে, গ্রেপ্তার হন আরো কয়েকজন।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রেপ্তার হন চেন্নাই সুপার কিংসের ‘প্রিন্সিপাল’ ও শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পন। এরপর শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। তখন বিসিসিআইয়ের এক জরুরি সভায় শ্রীনিবাসনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
কিছুদিন পরই জামিনে মুক্তি পান মায়াপ্পন। শ্রীনিবাসনও বোর্ড প্রধানের দায়িত্বে ফেরেন। তবে পরে আদালতের রায়ে আবার দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে। এর পর আপিল করেও বোর্ডে ফিরতে পারেননি শ্রীনিবাসন। উল্টো ফেঁসে গেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আইপিএলে দুর্নীতি নিয়ে চালানো তদন্তে তার নামও উঠে এসেছে।
আদালত শ্রীনিবাসনকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান থেকে সরে দাঁড়াতে বলার অন্তর্বতীকালীন আদেশ বলবৎ রাখে। এর সঙ্গে বিসিসিআইকে আইপিএল কেলেঙ্কারির নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পদক্ষেপ ঠিক করে আদালতে যেতে বলে।