খুলনাকে প্রথম ইনিংসে অলআউট করায় বোনাস ৩ পয়েন্ট পায় ঢাকা। প্রথম ইনিংসে আড়াইশ’ পেরুনোয় আরো বোনাস এক পয়েন্ট পায় দলটি। প্রথম ইনিংসের লিড থেকে আসে আরেকটি বোনাস পয়েন্ট।
ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ১১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ঢাকা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজশাহীর চেয়ে ২১ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। পাঁচটি বোনাস পয়েন্ট নিশ্চিত হওয়ায় ১১৬ পয়েন্ট হয়ে গেছে তাদের। শেষ রাউন্ডে খেলার ফলাফল যাই হোক ঢাকার শিরোপা হারানোর কোনো শঙ্কা নেই বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান দলের ম্যানেজার আলী হোসেন।
রোববার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্সে ১ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ঢাকা।
খুলনার অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৯৬ রানেই প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে ঢাকা। সেখান থেকে দলকে ২৫২ রান পর্যটন্ত নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব হাসানের।
১০১ রান করা হাসানের ১৪৫ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা। ২৩৯ রানে হাসানের বিদায়ের পর দলকে লিড এনে দেয়া আর সংগ্রহ আড়াইশ’ পার করার কৃতিত্ব শেষ দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মাসুম (অপরাজিত ৬) ও নাজমুল অপুর ( ৯)।
খুলনার সেরা বোলার রাজ্জাক ৬ উইকেট নেন ১০১ রানে।
জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ৯৪ রান করে খুলনা। ৩৮ রান করে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। এনামুল হক ব্যাট করছেন ৩৬ রানে।
ঢাকার পক্ষে শুভাগত হোম চৌধুরী ২ উইকেট নেন ৮ রানে।
জাতীয় লিগের চ্যাম্পিয়নরা:
মৌসুম | চ্যাম্পিয়ন | রানার্সআপ |
১৯৯৯-২০০০ | চট্টগ্রাম বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
২০০০-২০০১ | বাংলাদেশ বিমান | চট্টগ্রাম বিভাগ |
২০০১-২০০২ | ঢাকা বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
২০০২-২০০৩ | খুলনা বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
২০০৩-২০০৪ | ঢাকা বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
২০০৪-২০০৫ | ঢাকা বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
২০০৫-২০০৬ | রাজশাহী বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
২০০৬-২০০৭ | ঢাকা বিভাগ | রাজশাজী বিভাগ |
২০০৭-২০০৮ | খুলনা বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
২০০৮-২০০৯ | রাজশাহী বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
২০০৯-২০১০ | রাজশাহী বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
২০১০-২০১১ | রাজশাহী বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
২০১১-২০১২ | রাজশাহী বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
২০১২-২০১৩ | খুলনা বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
২০১৩-২০১৪ | ঢাকা বিভাগ |
|