শনিবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে কলকাতা। অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনকে ছাড়াই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামা দিল্লির এটি প্রথম জয়।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার সময় মাত্র ১০ বল ছিল। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি সাকিব। দিল্লির বিপক্ষে দ্বাদশ ওভারে মাঠে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি তিনি।
১১ ওভার শেষে কলকাতার সংগ্রহ ছিল ৭৫/৩। সাকিব মাঠে নামার পর শেষ ৯ ওভারে ৯১ রান যোগ করে তারা। এতে বড় অবদান সাকিবের। ২২ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলার পথে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৬ রান করে কলকাতা।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দ্রুত বিদায়ে শুরুতেই চাপে পড়ে কলকাতা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রান করতে পারেননি অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। শূন্য রানে ফেরেন জ্যাক ক্যালিসও।
তৃতীয় উইকেটে মনিশ পাণ্ডের সঙ্গে রবিন উথাপ্পার ৬৬ রানের জুটিতে কক্ষপথে ফেরে কলকাতা। শাহবাজ নাদিমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৮ রান করেন মনিশ।
অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর বিদায় নেন উথাপ্পা (৫৫)। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। এ রান করার পথে সাকিবের সঙ্গে ৩৬ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দিল্লির পক্ষে নাথান কোল্টার-নাইল ২ উইকেট নেন ২৭ রানে।
জবাবে বল ৩ বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি।
মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৪ বলে ২৬) দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেও দিল্লিকে জয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব দীনেশ কার্তিকের। সুনীল নারায়ণের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ৪০ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করেন তিনি।
দিল্লির জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান জেপি ডুমিনির। ৩৫ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ব্যাট হাতে সাফল্য পেলেও বোলিংয়ে ভালো করেননি সাকিব। ৩ ওভারে ২৫ রান দেন এই বাঁহাতি স্পিনার।