অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটে রংপুর ও সিলেটের জয়

ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2014, 12:43 PM
Updated : 19 April 2014, 12:43 PM

শনিবার তৃতীয় ও শেষ দিন রংপুর ৫১ রানে হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে, ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে সিলেট জয় এসেছে ২১১ রানে।

খুলনা বিভাগ-রংপুর বিভাগ

ফরিদপুর স্টেডিয়ামে ৬ উইকেট ১০২ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ১১৭ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর।

সাত নম্বর ব্যাটসম্যান সঞ্জীব সাহা (৬৬) ও দশ নম্বর ব্যাটসম্যান আবু নেসারের (৪২) দৃঢ়তায় অলআউট হওয়ার আগে ২২৩ রান করে তারা।

৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আলিফ আখতার খুলনার সেরা বোলার। প্রথম ইনিংসে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে ৮০ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি খুলনার। অধিনায়ক আবীরুজ্জামান আবীরের মারাত্মক বোলিংয়ে ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি।

৪৬ রানে ৬ উইকেট নেন ম্যাচ সেরা আবীর। বোলিংয়েও অবদান রাখা সঞ্জীব ও নেসার দুটি করে উইকেট নেন।

সিলেট বিভাগ-ঢাকা মেট্রো

বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ৮ উইকেটে ১৭৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট।

সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক ফাহাদ হাসান ৩৭ ও তানিল মাহমুদ ৩৪ রান করেন।

ঢাকার পক্ষে নাজমুল হোসেন ৩ উইকেট নেন ১৭ রানে।

জয়ের জন্য ২৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও কামরুল ইসলাম ও কামিল আহমেদের মারাত্মক বোলিংয়ে ৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ঢাকা মেট্রো। এর আগে প্রথম ইনিংসে ১১১ রান করে তারা।

সর্বোচ্চ ৩৯ রান করা সাকিব মুরাদ ছাড়া ঢাকার আর কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।

প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেয়া কামরুল দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন মাত্র ২১ রানে। ৬০ রানে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। ম্যাচে ৭ উইকেট নেয়া কামিলের অবদানও কম নয়।

ড্র রাজশাহী বিভাগ-ঢাকা বিভাগ দক্ষিণের ম্যাচ

দিনাজপুর স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৭৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ। অধিনায়ক আকিব মাহমুদদের ৭৫ ও মোহাম্মদ শহীদের ৫০ ও আনিসুল সলামের ৩১ রানের সুবাদে অলআউট হওয়ার আগে ২১১ রান করে তারা।

২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজশাহী ৩ উইকেটে ১০১ রান করার পর ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক। এ সময় ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শোভন দাস।