ইনিংস ব্যবধানে জয় বিকেএসপির

ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি। দুই দিনেই বরিশালকে ইনিংস ও ৬৮ রানে হারিয়েছে তারা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 11:48 AM
Updated : 18 April 2014, 12:15 PM

বিকেএসপি-বরিশাল বিভাগ

শুক্রবার রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে ৫ উইকেটে ১১ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বরিশাল।

দ্বিতীয় দিনও ভালো করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। তাই ৩৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ভীষন বিপদে পড়ে তারা। এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান সাইফুল ইসলামের ৩২ রানের সৌজন্যে অলআউট হওয়ার আগে ৮০ রান করে তারা।

২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বিকেএসপির সেরা বোলার সাঈদ সরকার। সিফাত ইসলাম ৩ উইকেট নেন ২৭ রানে।

ফলোঅন করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও একই চিত্র। মাত্র তিন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছানোয় ১০৮ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। সর্বোচ্চ ৩৮ রান অলি আহমেদের। ২১ রান করেন রেদওয়ানুল ইসলাম।

দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন মোসাব্বেক হোসেন ও আব্দুল কাইয়ুম। শাহানুর রহমান নেন ২ উইকেট।

রাজশাহী বিভাগ-ঢাকা বিভাগ দক্ষিণ

দিনাজপুর স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।

সর্বোচ্চ ৩৮ রান তুষার আহমেদের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন শাকের হোসেন। শেষ সাত ব্যাটসম্যানের ছয়জনই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।

৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ঢাকা দক্ষিণের সেরা বোলার ফায়হাম বিন নীর। দুটি করে উইকেট নেন রকিবুল ইসলাম ও আশিকুল ইসলাম।

২৪ রানের লিড নিড নিয়ে খেলতে নেমে স্বস্তিতে নেই ঢাকা দক্ষিণও। দিন শেষে ৭৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে দলটি।

সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন আনিসুল ইসলাম। আকিব মাহমুদ ব্যাট করছেন ১৫ রানে।

রাজশাহীর পক্ষে শাকিল হোসেন ও ইশতকুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন।

সিলেট বিভাগ-ঢাকা মেট্রো

বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে কামরুল ইসলাম ও কামিল আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঢাকা মেট্রোকে ১১১ রান অলআউট করে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে সিলেট।

সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন নাজমুল হোসেন। দলের আট ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।

৩৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে কামরুল সিলেটের সেরা বোলার। ২৫ রানে ৪ উইকেট নেয়া কামিলের অবদানও কম নয়।

প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ২২৩ রান করায় ১১২ লিড পায় সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৪ উইকেটে ৯৮ রান করায় ২১০ রানে এগিয়ে দলটি।

সর্বোচ্চ ৪১ রান করে আসাদুল্লাহ আল-গালিব।

খুলনা বিভাগ-রংপুর বিভাগ

ফরিদপুর স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করে খুলনা বিভাগ। আগের দিনের ৭৭ রানের জুটিকে ১০৭ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হন কামরুজ্জামান (৩৬) ও ফারদিন হাসান (৬৭)।

১ রানের ব্যবধানে এ দুজনের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় সংগ্রহ খুব একটা বড় হয়নি খুলনার।

রংপুরের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন আবু নাসের ও সঞ্জীব সাহা।

৩৫ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে রংপুর। শেষ ৪ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ৬৭ রানে এগিয়ে তারা।