সোমবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ঢাকা। আগের দিনের ৬৯ রানের ইনিংসকে ৮৪ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পর শামসুর রহমান বিদায় নিলে দিক হারায় দলটি।
রাজ্জাকের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। ১৭৯ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলকে আড়াইশর কাছাকাছি নেয়ার কৃতিত্ব দশ নম্বর ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শহীদের (অপরাজিত ৫২)।
৯১ রানে ৯ উইকেট নিয়ে অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাকই খেলায় ফিরিয়েছেন শিরোপাধারীদের। মেহরাব হোসেন জুনিয়রকে বোল্ড করে অন্য উইকেটটি নিয়েছেন অনিয়মিত বোলার ইমরুল কায়েস।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিং রাজ্জাকেরই। ২০১২/১৩ মৌসুমে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৮৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
চট্টগ্রামের বিপক্ষেই ২০০৪/০৫ মৌসুমে বরিশালের আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলের মোশাররফ হোসেন ১০৫ রানে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি খুলনার। মাত্র ২২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন প্রথম তিন ব্যাটসম্যান।
তবে চতুর্থ উইকেটে মিঠুন আলীর (অপরাজিত ৬২) সঙ্গে তুষার ইমরানের (অপরাজিত ৭৫) অবিচ্ছিন্ন ১২৯ রানের বড় জুটির সুবাদে জয়ের পথেই খুলনা।
ঢাকা মেট্রোর পক্ষে আরাফাত সানি ২ উইকেট নেন ৩৬ রানে।
প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রো করে ১৭২ রান আর খুলনা ২১৩।