বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক, বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন ও পেসার মাহবুবুল আলম। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌরব রাওয়াদ এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ড্যারেন স্টিভেন্সও নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
গত অগাস্ট থেকে ক্রিকেটে সাময়িক নিষিদ্ধ ছিলেন মোশাররফ ও মাহবুবুল। ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।
ম্যাচ পাতানোর স্বীকারোক্তি দেয়া মোহাম্মদ আশরাফুল ও শ্রীলঙ্কার কৌশল লুকুয়ারাচ্চির ব্যাপারে এখনো কোনো রায় জানায়নি ট্রাইব্যুনাল।
শিহাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগের মধ্যে একটিতে তিনি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন।
সেলিম চৌধুরীর চারটি, গৌরব রাওয়াদ পাঁচটি, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক তিনটি এবং দলের তিন ক্রিকেটার মোশাররফ, মাহবুবুল ও স্টিভেন্সের বিপক্ষে দু'টি করে অভিযোগে আনা হয়েছিল। তারা প্রতিটিতেই নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
গত ১৪ অক্টোবর আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আব্দুর রশিদকে ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান নিয়োগ করে বিসিবি। তিনি বিধি অনুযায়ী ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের ১০ সদস্য নিয়োগ করেন।
১০ নভেম্বর প্যানেলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। অপর দুই সদস্য হলেন আজমামুল হোসেন কিউসি ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।
গত ১৩ অগাস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিসি ও বিসিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর জন্য জড়িত থাকায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার কথা জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।
অভিযুক্ত প্রত্যেকেই বিপিএলে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের সঙ্গে যুক্ত।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। বুধবার তারই রায় দিল ট্রাইব্যুনাল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় রায়ের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।