রায়ে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের অধিভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে পারবে না। তাই আদালত বিসিবির গঠনতন্ত্রের সংশোধনীকে অকার্যকর এবং বাধ্যতামূলক নয় বলে রায় দিচ্ছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আব্দুর রব এই সংক্রান্ত রুলের চূড়াণ্ত শুনানি শেষে রোববার এই রায় ঘোষণা করেন।
বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে বিসিবি চলছে। এখন এই কমিটির প্রধান কাজ ২০০৮ সালে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করা।
রায়ের পর রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই রায়ের ফলে ২০১২ সালে আনা বিসিবির গঠনতন্ত্রের সংশোধনী বাতিল হয়ে গেল। এখন থেকে বিসিবি চলবে ২০০৮ সালে আনা সর্বশেষ সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী।”
আদালতে বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মেহেদি হাসান চৌধুরী।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও ব্যারিস্টার কে এম হাফিজ।
গত বছর নভেম্বরে বিসিবির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে বোর্ডকে একটি চিঠি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
ওই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাই কোর্টে আবেদন করেন বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু এবং বিসিবির সাবেক কাউন্সিলর স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরি।
১৩ ডিসেম্বর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে বিসিবিকে দেয়া এনএসসির চিঠি তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ঐ চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এক মতবিনিময় সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনকে ‘অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক ও ক্রিকেট স্বার্থের পরিপন্থী’ বলে অভিহিত করেছিলেন।