খুলনা ব্যাটিং করায় দাভিদ মালান, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ও পল স্টার্লিংকে দিয়ে। তাদের ওভারটি করে জুনাইদ খান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানান, অফ সাইডে শক্তিশালী হওয়ায় তার জায়গায় নেওয়া হয়েছিল স্টার্লিংকে।
“প্রথমবারের মতো বিপিএলে সুপার ওভার হলো। কেউই তো আসলে সুপার ওভার চায় না। কোনো অধিনায়কই সুপার ওভার খেলতে চাইবে না।”
“এই চারজনকে বেছে নেওয়া টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। আমার মনে হয়েছে, স্টার্লিং অফসাইডে খুব ভালো, মালানও শক্তিশালী। আমরা সবাই ব্র্যাথওয়েটের ব্যাপারে জানি। সবকিছু মিলিয়ে তাদের নির্বাচন করা হয়েছে। তিন নম্বরে আমিও যেতে পারতাম। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, স্টারলিং বেশি ভালো। এই কারনে এই তিনজনকে নিয়েছিলাম আমরা।”
ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের দরকার ছিল ১৯ রান। তিন ছক্কায় ১৮ রান তুলে নেয় দলটি। বিপিএলে প্রথমবারের মতো টাই হয় কোনো ম্যাচ। সেই ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকান ফ্রাইলিঙ্ক। পরে তার ব্যাটিং-বোলিংয়ে সুপার ওভারে জিতে যায় চিটাগং। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার জানান, দীর্ঘ সময়ের কঠোর অনুশীলনেই কেবল সম্ভব এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি হওয়া।
“এটা আমার ক্যারিয়ারের প্রথম সুপার ওভার। আমার মনে হয়, ১১ রান ভালো পুঁজি ছিল। নিজের ওপর আমার আস্থা ছিল। প্রথম বলটায় আমি লেংথে ভুল করেছিলাম, মালান চার হাঁকিয়েছিল। অবশ্যই এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাটিং-বোলিং যাই করুন না কেন আপনাকে শান্ত থাকতে হবে এবং পরিকল্পনায় স্থির থাকতে হবে।”
“সাত নম্বরে ব্যাটিং আর শেষের দিকে বোলিং করায় এই ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে আমি পরিচিত। এমন পরিস্থিতিতে অনেকবারই পড়েছি, যখন শেষ ওভারে ১৫ রান করতে হবে কিংবা ১০ রান ডিফেন্ড করতে হবে। এমন অবস্থার জন্য তৈরি থাকতে আপনাকে অনেক অনুশীলন করে যেতে হবে।”