‘সাকিবের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত’

বাংলাদেশ দল নির্বাচনের কাজটি অনেক সময়ই অনেক সহজ হয়ে ওঠে একজনের সৌজন্যে। সাকিব আল হাসান দলে থাকা মানে পরিপূর্ণ একজন ব্যাটসম্যান ও পরিপূর্ণ একজন স্পিনার একজনের মাঝেই পাওয়া। এবার নির্বাচকরা পেলেন উল্টো স্বাদ। সাকিব না থাকলে দল সাজানো কতটা কঠিন! তবে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারের বিশ্রাম নেওয়ার ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানাতে বলেছেন প্রধান নির্বাচক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2017, 02:27 PM
Updated : 11 Sept 2017, 02:47 PM

দল নির্বাচনে সাকিবের নামটি লিখে তবেই এগোতেন নির্বাচকরা। এবার সেই সাকিবের বিকল্প ভাবতে হয়েছে তাদের। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, কাজটি সহজ ছিল না মোটেও।

“ওকে ছাড়া তো আমরা দল চিন্তা করতে পারি না। দল নির্বাচন করার সময় তো ওর নামটা সবার আগে লিখতে হয়। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার, ওকে দলে না পাওয়াটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। সে ছুটি চেয়েছে, মঞ্জুর হয়েছে। এখন সেটা নিয়েই চলতে হবে। ইনজুরি হলেও তো সাকিবকে ছাড়া খেলতে হতো!”

ইনজুরি হলে এত প্রশ্নের অবকাশ থাকত না। স্বেচ্ছা বিরতি বলেই বিস্ময় আর প্রশ্নের তোলপাড়। এই বছর টেস্টে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছিলেন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর হতে পারতো নিজেকে আরেক ধাপ ওপরে নেওয়ার সুযোগ।

৮ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে যাচ্ছে দল। আবার কবে এই সুযোগ মিলবে, সাকিব আদৌ কখনও আর দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে পারবেন কিনা, সেই প্রশ্নও থাকছে।

তবে প্রধান নির্বাচক মনে করিয়ে দিলেন, শরীর ও মন না চাইলে মাঠে খেলা কঠিন। অনুরোধ করলেন, সাকিবের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে।

“ও তো সারা বিশ্বের সব জায়গায় খেলছে। কিন্তু লম্বা বিরতি সে পায়নি। এ কারণেই সে ছুটি চেয়েছে।”

“শারীরিক চাহিদার ব্যাপারটি ভাবতে হবে। পাশাপাশি মানসিক ব্যাপারটাও ভাবতে হবে। আমি যেহেতু খেলোয়াড় ছিলাম, আমি জানি মানসিকভাবে শতভাগ ফিট না থাকলে কিন্তু পারফরম্যান্স শতভাগ ভালো হয় না। সে হিসেবে ওর সিদ্ধান্তটাকে সম্মান জানানো উচিত।”

ক্লান্তি দূর করতে ও মানসিকভাবে চাঙা হয়ে ফিরতেই সাকিব আবেদন করেছিলেন ৬ মাস টেস্ট থেকে দূরে থাকার। বিসিবি আপাতত তাকে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজের জন্য বিশ্রাম দিয়েছে। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে, চাইলে দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় টেস্টও খেলতে পারেন সাকিব।

প্রধান নির্বাচকের আশা, চাঙা হয়ে ফিরতে খুব বেশি সময় নেবেন না সাকিব।

“আপাতত দুই টেস্টের জন্য তাকে বিরতি দিয়েছি। সে হয়ত এই সিরিজের পরই বা একটা টেস্ট শেষেই দলের সঙ্গে যোগ দিবে। সে আমাদের সেরা ক্রিকেটার। আমরা আশাবাদী, সে দ্রুত ফিরবে।”

এই আশা হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবারই। ক্লান্তি কাটিয়ে দ্রুতই ফিরবেন সাকিব।