প্রধান নির্বাচকের ‘ব্যক্তিগত চাওয়ায়’ দলে মাহমুদউল্লাহ

থমকে যাওয়া টেস্ট ক্যারিয়ারকে আবার গতিময় করার সুযোগ পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বাংলাদেশ টেস্ট দলে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের দলে ফেরায় বড় ভূমিকা ছিল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2017, 12:32 PM
Updated : 11 Sept 2017, 02:45 PM

গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে গল টেস্টে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ। খেলতে পারেননি দেশের শততম টেস্টে। একদিক থেকে তিনি যথেষ্টই ভাগ্যবান, খুব বেশি দিন বাইরে থাকতে হলো না।

তবে তাকে দলে ফেরাল অতীত পারফরম্যান্সই। দল নির্বাচনে বিবেচনায় নেওয়া হয় বাউন্সি উইকেটে তার সামর্থ্য। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক জানালেন, তিনিই খুব করে চাইছিলেন মাহমুদউল্লাহকে।

“ব্যক্তিগতভাবে আমিই ওকে চেয়েছি দলে। আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ইংল্যান্ডে ভালো করেছে। স্কয়ার অব দা উইকেটে যথেষ্ট ভালো খেলে। সে হিসেবে ওর ওপর আমার অনেক বিশ্বাস বলে ওকে চেয়েছি।”

“আমরা চিন্তা করেছি, বিদেশের বাউন্সি উইকেটে সে সবসময় ভালো করে। যেখানে বল দ্রুত ব্যাটে আসে, সেখানে সে ভালো ব্যাট করে। ওই বিবেচনা করে ওকে রাখা হয়েছে।”

৩৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর একমাত্র সেঞ্চুরিটি নিউ জিল্যান্ডে। ২০১৫ বিশ্বকাপে টানা দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে। গত জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরি করেন কার্ডিফে। বিবর্ণ টেস্ট ক্যারিয়ারে নতুন প্রাণ দেওয়ার সুযোগ পেলেন দেশের বাইরে এই দারুণ ইনিংসগুলোর সৌজন্যে।

তবে বিশ্রামের কারণে সাকিব আল হাসানের না থাকাও মাহমুদউল্লাহকে ফেরানোর একটি কারণ বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক।

“যেহেতু সাকিব নেই, একজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান, অভিজ্ঞ একজন দরকার। সেই চিন্তায়ও মাহমুদউল্লাহকে রাখা হয়েছে।”

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অপরিহার্য অংশ হলেও টেস্ট ক্যারিয়ারটাকে ঠিক একই সমান্তরালে এগিয়ে নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে টানা ১৩ ইনিংসে একটি অর্ধশতক করার পর বাদ পড়েন দলে। এবার নতুন সুযোগ টেস্ট ক্যারিয়ার নতুনভাবে সাজানোর।