গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে গল টেস্টে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ। খেলতে পারেননি দেশের শততম টেস্টে। একদিক থেকে তিনি যথেষ্টই ভাগ্যবান, খুব বেশি দিন বাইরে থাকতে হলো না।
তবে তাকে দলে ফেরাল অতীত পারফরম্যান্সই। দল নির্বাচনে বিবেচনায় নেওয়া হয় বাউন্সি উইকেটে তার সামর্থ্য। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক জানালেন, তিনিই খুব করে চাইছিলেন মাহমুদউল্লাহকে।
“ব্যক্তিগতভাবে আমিই ওকে চেয়েছি দলে। আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ইংল্যান্ডে ভালো করেছে। স্কয়ার অব দা উইকেটে যথেষ্ট ভালো খেলে। সে হিসেবে ওর ওপর আমার অনেক বিশ্বাস বলে ওকে চেয়েছি।”
“আমরা চিন্তা করেছি, বিদেশের বাউন্সি উইকেটে সে সবসময় ভালো করে। যেখানে বল দ্রুত ব্যাটে আসে, সেখানে সে ভালো ব্যাট করে। ওই বিবেচনা করে ওকে রাখা হয়েছে।”
তবে বিশ্রামের কারণে সাকিব আল হাসানের না থাকাও মাহমুদউল্লাহকে ফেরানোর একটি কারণ বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক।
“যেহেতু সাকিব নেই, একজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান, অভিজ্ঞ একজন দরকার। সেই চিন্তায়ও মাহমুদউল্লাহকে রাখা হয়েছে।”
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অপরিহার্য অংশ হলেও টেস্ট ক্যারিয়ারটাকে ঠিক একই সমান্তরালে এগিয়ে নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে টানা ১৩ ইনিংসে একটি অর্ধশতক করার পর বাদ পড়েন দলে। এবার নতুন সুযোগ টেস্ট ক্যারিয়ার নতুনভাবে সাজানোর।