পাকিস্তান সফরের বিশ্ব একাদশে থাকতে পেরে গর্বিত তামিম

খবরটা চমকে দিয়েছে অনেককেই। বিশ্ব একাদশের হয়ে পাকিস্তানে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। মৃত্যু-ভয়-আতঙ্ক যেখানে নিত্য সঙ্গী, আন্তজার্তিক ক্রিকেট প্রায় নিষিদ্ধ যে দেশে, সেখানে কেন যেতে হবে? উঠছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন, চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে তামিম নিজের কাছে পরিষ্কার। এমন একটা উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত বাংলাদেশের ওপেনার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2017, 10:28 AM
Updated : 25 August 2017, 02:34 PM

শুক্রবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলনের আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তামিম। টেস্ট সহ-অধিনায়কের কাছে টেস্ট সিরিজ নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্নের ফাঁকে উঠল পাকিস্তানের খেলতে যাওয়ার প্রসঙ্গও।

স্রেফ একটি সিরিজ নয়, তামিম ব্যাপারটিকে দেখছেন অনেক বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে। বিশ্ব একাদশে খেলতে পারা, পাশাপাশি পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানো, দুটি এক সুতোয় গাঁথা হচ্ছে বলে আগ্রহী তামিম।

“প্রথমত, এটা আইসিসি অনুমোদিত একটি টুর্নামেন্ট। ম্যাচগুলোর আন্তর্জাতিক মর্যাদা থাকবে। দ্বিতীয়ত, আমার মনে হয়, বিশ্ব একাদশকে প্রতিনিধিত্ব করা একটা বড় কথা। ওটার জন্য আমি গর্বিত।”

“আমার মনে হয়, ক্রিকেটিং ১০টা দেশ একটা পরিবারের মতো। পাকিস্তানে (আন্তর্জাতিক) ক্রিকেট ফেরাতে একজনকে না একজনকে তো সহায়তা করতে হবে। আমার মনে হয়, ওরা একটা চমৎকার জিনিস করছে এমন একটা আয়োজন করে। এটা যদি সফলভাবে আয়োজন করতে পারে, সামনে দেখবেন অনেক আন্তর্জাতিক দল পাকিস্তান যাচ্ছে।”

টেস্ট খেলুড়ে একটি দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকতে পারাটা তামিমের কাছে ভালো লাগার।

“এটা একটা না একটা সময়ে শুরু হওয়ার দরকার ছিল। আমরা প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি, আমার মনে হয় এটা চমৎকার একটা ব্যাপার। হয়তো এটা আরও আগে হলে আরও ভালো হত।”

পাকিস্তানে তিনটি টি-টোয়েন্টি মাচ খেলবে বিশ্ব একাদশ। আগামী ১২, ১৩ ও ১৫ সেপ্টেম্বর লাহোরে হবে ম্যাচ তিনটি। উদ্যোগটি আইসিসির, তাই ম্যাচ তিনটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মর্যাদা।

১৪ সদস্যের বিশ্ব একাদশের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। দল ঘোষণার পর দু প্লেসিই বলেছেন, সিরিজটি খেলতে মুখিয়ে আছেন তিনি। আইসিসির নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে।

পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর প্রক্রিয়া হিসেবেই গত মার্চে পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনাল আয়োজন করা হয় লাহোরে। তাতে ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস, ক্রিস জর্ডান, ডাভিড মালানদের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের এনামুল হক।