শেষ বেলায় আফ্রিদির প্রথম সেঞ্চুরি

দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে চলছে গোধূলি বেলা। সব ছেড়ে এখন শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগই খেলছেন। এই পড়ন্ত বেলায় শহিদ আফ্রিদি ঘোচালেন একটি শূন্যতা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন প্রথমবার!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2017, 05:50 AM
Updated : 23 August 2017, 05:50 AM

মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছেন আফ্রিদি। কোয়ার্টার-ফাইনালে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে করেছেন ৪৩ বলে ১০১। রানের পাহাড় গড়ে ১০১ রানের দারুণ জয় পেয়েছে তার দল।

আফ্রিদির এই ইনিংসও ‍ছিল তার পুরো ক্যারিয়ারের মতো। অধারাবাহিকতার মাঝেই হঠাৎ ঝলকানি। আগের ৭ ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন মোটে ৫০ রান। এক ইনিংসেই করলেন দ্বিগুণের বেশি।

প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণও বেশ ভালো ছিল। নিউ জিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরি ছিলেন ডার্বিশায়ার দলে। ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার হার্ডার্স ভিলিওন ও লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। কিন্তু আফ্রিদির পাগলাটে দিনে তো বোলিংয়ের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে খুব কমই যায়-আসে!

ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে এদিন আফ্রিদিকে ওপেন করতে পাঠায় হ্যাম্পশায়ার। প্রথম ওভার থেকেই শুরু হয় আফ্রিদির তাণ্ডব। অফ স্পিনার ওয়েন ম্যাডসেনকে মারেন চারটি বাউন্ডারি।

পরের দু ওভারে সেভাবে স্ট্রাইক পাননি। পঞ্চম ওভারে পেসার বেন কটনকে মারেন টানা দুটি ছক্কা। পরের ওভারকে ভিলিওনকে তিন চার। হেনরির প্রথম ওভারে ছক্কা মেরে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ১৯ বলে। মাইলফলক উদযাপন করেন পরের বলে আরেকটি ছক্কায়।

ইমরান তাহিরকে স্বাগত জানান ছক্কায়। পরে তাহিরের এক ওভারেই ছক্কা ও চারে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৪২ বলে।

এরপর অবশ্য আর টিকতে পারেননি। হেনরির বলে ধরা পড়েন কটনের হাতে। ৪৩ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ১০টি চার ও ৭টি ছক্কা।

টি-টোয়েন্টিতে আগের ২৫৬ ম্যাচে পঞ্চাশই ছুঁতে পেরেছিলেন মাত্র ৯ বার। শেষ বেলায় পেলেন প্রথম সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ার গড় যদিও মাত্র ১৯.০৭, তবে স্ট্রাইক রেট ১৫৬.১০!

৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ছক্কার ডাবল সেঞ্চুরিও ছাড়িয়েছেন এদিন। এই ম্যাচ শেষে ২২২ ইনিংসে ছক্কা ২০৫টি।

আফ্রিদির পাশাপাশি অধিনায়ক জেমস ভিন্স করেন ৩৬ বলে ৫৫। জর্জ বেইলির ব্যাটে ১১ বলে ২৭।

শেষ দিকে ১৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় হ্যাম্পশায়ার। তার পরও তাদের রান ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৯। টি-টোয়েন্টিতে এটি কাউন্টি দলটির সর্বোচ্চ, ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও।

জবাবে ডার্বিশায়ার গুটিয়ে যায় ১৪৮ রানেই। কাইল অ্যাবট ও লিয়াম ডসন নেন ৩টি করে উইকেট। ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেট পাননি আফ্রিদি।