ডাম্বুলার রনগিরি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ২১৭ রানের লক্ষ্য রোহিত শর্মাকে হারিয়েই পেরিয়ে গেছে অতিথিরা। তখনও বাকি ছিল ২১.১ ওভার।
প্রথম ওয়ানডের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ভারত। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার পথ আরেকটু কঠিন হয়েছে শ্রীলঙ্কার। ২০১৯ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে শেষ চার ম্যাচে অন্তত দুটি জয় চাই তাদের।
ঝড় বয়ে গেছে স্বাগতিক বোলারদের ওপর দিয়ে। দুইশতম ওয়ানডে খেলতে নামা লাসিথ মালিঙ্গা কিংবা নিজের প্রথমটি খেলতে নামা বিশ্ব ফার্নান্দো- সুবিধা করতে পারেননি কেউই।
পেসারদের ব্যর্থতার দিনে অনুজ্জ্বল স্পিন আক্রমণও। উইকেট পাননি কেউই। শ্রীলঙ্কায় নিজের শেষ ১০ ইনিংসে সব মিলিয়ে ৩৭ রান করা রোহিত ফিরেছেন রান আউট হয়ে।
চার হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেওয়া ধাওয়ান অপরাজিত ছিলেন ১৩২ রানে। ম্যাচ সেরা এই খেলোয়াড়ের ৯০ বলের ইনিংসটি গড়া ২০টি চার ও ৩টি ছক্কায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার টানা ষষ্ঠ পঞ্চাশ বা তার বেশি রানের ইনিংস।
অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ানের সঙ্গে ১৯৭ রানের জুটি উপহার দেওয়া কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৮২ রানে। ৭০ বলে এই রান করতে ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দানুশকা গুনাথিলকার সঙ্গে নিরোশান ডিকভেলার ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কুসল মেন্ডিসের সঙ্গে ৬৫ রানের আরেকটি ভালো জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাড় করিয়েছিলেন ডিকভেলা।
অর্ধশতক মাত্র একটি- ডিকভেলার ৬৪। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার অক্ষর প্যাটেল।
আগামী বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলেতে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৩.২ ওভারে ২১৬ (ডিকভেলা ৬৪, গুনাথিলকা ৩৫, মেন্ডিস ৩৬, থারাঙ্গা ১৩, ম্যাথিউস ৩৬*, কাপুগেদারা ১, হাসারাঙ্গা ২, থিসারা ০, সান্দাকান ৫, মালিঙ্গা ৮, ফার্নান্দো ০; ভুবনেশ্বর ০/৩৩, পান্ডিয়া ০/৩৫, বুমরাহ ২/২২, চাহাল ২/৬০, যাদব ২/২৬, প্যাটেল ৩/৩৪)
ভারত: ২৮.৫ ওভারে ২২০/১ (রোহিত ৪, ধাওয়ান ১৩২*, কোহলি ৮২*; মালিঙ্গা ০/৫২, ফার্নান্দো ০/৪৩, ম্যাথিউস ০/৯, থিসারা ০/১৮, সান্দাকান ০/৬৩, হাসারাঙ্গা ০/৩৫)
ফল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শিখর ধাওয়ান