শুধু উপভোগ করে যেতে চান নাসির

টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ। মাঠে দুই নির্বাচক। জাতীয় কোচ-অধিনায়ক তো ছিলেনই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল নির্বাচনে ভালোই প্রভাবক হওয়ার কথা এই ম্যাচ। নাসির হোসেন নাকি সেসব মাথায়ই রাখছেন না! চট্টগ্রামে তিন ম্যচের দ্বিতীয় দিনে ৬২ রান করেছেন নাসির। খুব দারুণ নয়, তবে তিনটি করে চার ও ছক্কার ইনিংসে খেলেছেন সাবলীল। দিনশেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, শুধু উপভোগ করে যেতে চান।

ক্রীড়া প্রতিবেদক চট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2017, 01:25 PM
Updated : 10 August 2017, 01:25 PM

মাঠে নির্বাচকরা ছিলেন। কিন্তু ৬২ রানের ইনিংসটায় কি তাদের যথেষ্ট বার্তা দেওয়া হলো?
 
নাসির হোসেন: আমার আসলে কোনো কিছুই মনে হচ্ছে না। আমি চেষ্টা করছি প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে যতটা আউটপুট নেওয়া যায়। অনেক দিন থেকে আমি টেস্ট ম্যাচ বা বড় দৈর্ঘের ম্যাচ খেলিনি। চাই চেষ্টা করেছি কিভাবে ইনিংস বড় করা যায়। হয়ত আরও বড় করতে পারতাম, আউট হয়ে গেছি। তবে, সত্যি কথা আমার মাথায় ওরকম কিছু নেই।
 
মানে এই ম্যাচে ভালো করে নির্বাচকদের নজর কাড়ার ভাবনা ছিল না?
 
নাসির: প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করে নজর কাড়তে হবে, এরকম কিছু ছিল না ভাবনা। আমি স্রেফ উপভোগ করছি। অনেক দিন পর লাল বলে ব্যাট করেছি। ভালো লাগছিল খুব। উইকেটে সময় কাটিয়েছি, অনেকক্ষণ ব্যাট করছিলাম। উপভোগ করছি ব্যাটিং। সেঞ্চুরি হলে অবশ্যই ভালো হতো। রানের জন্য নয়, আপনি উইকেটে যত সময় ব্যাট করবেন, ততই খেলায় উন্নতি হবে। সেঞ্চুরি হলে অবশ্যই ভালো লাগত।
 
ভালো খেলতে খেলতেই হঠাৎ আউট হয়ে গেলেন!
 
নাসির: আউট কেউ যখন-তখন যে কোনে সময় হতে পারে। ওটা নিয়ে চিন্তা নেই। আউট হয়ে গেছি এমনি।
 

নাঈম হাসানের বলে বাড়তি বাউন্সে আউট হয়েছেন, কেমন দেখলেন তরুণ এই অফ স্পিনারকে?
 
নাসির: নাঈমের বোলিং আমার ভালো লাগে। আগেই ওকে দেখেছি ইমার্জিং কাপে। ভালো লাগে ওর বোলিং।
  ঘরোয়া ক্রিকেটে তো এত ভালো বোলিং খেলা হয় না। এই ম্যাচে খুব ভালো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে পাওয়া নিশ্চয়ই বেশি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে?
 
নাসির: নির্ভর করে আসলে কন্ডিশনের ওপর। জাতীয় লিগে যে ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছি, ওটার কন্ডিশন কঠিন ছিল। উইকেটে ঘাস ছিল। সিলেটের সঙ্গে খেলা ছিল, ওদের বোলার ভালো ছিল। আমার কাছে ওই ইনিংস বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। তবে এখানে ওদের সঙ্গে খেলা, জাতীয় বোলারদের সঙ্গে রান করলে বেশি ভালো লাগে অবশ্যই।
 
দলে স্পিনিং অলরাউন্ডার এখন বেশ কজন। আপনি যেখানে ব্যাট করেন, সেখানে প্রতিযেগিতায়ও বেশ। বিশেষ করে মোসাদ্দেক আসার পর প্রতিযোগিতা বেড়েছে আরও। সেই ঝাঁজ টের পাচ্ছেন?
 
নাসির: প্রতিযাগিতা থাকা অবশ্যই ভালো। প্রতিযেগিতা থাকলেই বোঝা যাবে আমি কোথায় আছি, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে বলেন বা যার ক্ষেত্রেই হোক, সবার জন্যই ভালো। আগে এতটা ছিল না প্রতিযোগিতা, এখন আছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নতি করছে। জাতীয় দলের যারা নিয়মিত, তারাও জানে টিকে থাকতে হলে ভালো করতে হবে।
 

দলের জন্য কতটা কাজে দেবে এই ম্যাচ?
 
নাসির: যতটা অনুশীলন করেছি, সবচেয়ে বেশি উপকারে আসবে এই ম্যাচ। কারণ আমরা অনেক দিন ধরে চারদিনের ম্যচ খেলিনি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যারা খেলবে, তাদের জন্য এই ম্যাচ কাজে দেবে। 
 
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর এই আজ পর্যন্ত, নাসির কতটা বদলেছে?
 
নাসির: পরিবর্তন কিছু নেই। মানুষের জীবনে ওঠা-নামা থাকেই। যেহেতু ক্রিকেটার হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি, ভালো-খারাপ সময় আসবেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, মানসিকভাবে শক্ত থাকলে ফেরা কঠিন নয়। আমি মানসিকভাবে শক্ত আছি। জানি যে ভালো করলে আবার আগের জায়গায় যেতে পারব।