হেরাথের সঙ্গে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন হাথুরুসিংহে

একে গ্রিপ দেখাচ্ছেন তো ওকে বোঝাচ্ছেন ফ্লাইট। বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে মাঝে মধ্যেই বদলে যাচ্ছে চন্দিকা হাথুরুসিংহে ও কোর্টনি ওয়ালশের ভূমিকা। একজন দলের মূল কোচ হলেও মূলত ব্যাটিং প্রধান। আরেকজন বোলিং কোচ হলেও পেস প্রধান। তবে চলতি ক্যাম্পে দুজন কাজ করছেন স্পিনারদের সঙ্গেও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2017, 01:25 PM
Updated : 2 August 2017, 03:20 PM

গত বছরের অগাস্টে রুয়ান কালপাগে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে স্পিন কোচ নেই বাংলাদেশের। স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের সঙ্গে তিন মাসের চুক্তি হচ্ছে বলে জানানো হলেও চূড়ান্ত নয়। আপাতত তাই কাজ চালাচ্ছেন হাথুরুসিংহে ও ওয়ালশ।

কিন্তু তাদের টোটকা কতটা কার্যকর হবে? হাথুরুসিংহে মনে করিয়ে দিলেন তাদের দীর্ঘ ক্রিকেট অভিজ্ঞতার কথা।

“আমার মনে হয়, দীর্ঘ সময় ক্রিকেট খেললে সবাই সবকিছুর কিছুটা হলেও জানে ও বোঝে। প্রক্রিয়াটা জানে। আমি স্পিন বোলিং করেছি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪২৫টি উইকেট আছে। আমি তাই কিছুটা হলেও জানি। কোর্টনির হাজারের বেশি উইকেট আছে, কিছুটা সেও জানে।”

“তবে স্পিনের টেকনিক বা এসব বিষয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞের কাজ। আমরা কাজ করছি একজন ব্যাটসম্যানকে কিভাবে বাগে আনতে হয়। কথা বলছি মানসিকতা ও ট্যাকটিক্যাল দিকগুলো নিয়ে।”

খেলোয়াড়ী জীবনে হাথুরুসিংহে ছিলেন অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মূলত করতেন স্লো মিডিয়াম পেস বোলিং। তবে মাঝেমধ্যে করেছেন অফ স্পিনও।

তবে স্পিনে হাথুরুসিংহের বেশি জানা আছে আবার বাঁহাতি স্পিন নিয়ে। কিভাবে? সেটিই খোলাসা করলেন বাংলাদেশ কোচ।

“স্পিনের টেকনিক্যাল দিকও খানিকটা বলতে পারি, বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনে। কারণ আমি রঙ্গনার (হেরাথ) সঙ্গে খেলেছি, পরে ওর সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। সে সম্ভবত বাঁহাতি স্পিনে বিশ্বসেরা। বাঁহাতি স্পিনারদের তাই কিছুটা বলতে পারি। আর নিজে যেহেতু অফ স্পিন করেছি, সেটাও কিছুটা পারি বলতে।”

রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে হাথুরুসিংহের বন্ধুত্ব বিশ্ব ক্রিকেটের অনেকেরই জানা। নিয়মিত যোগাযোগ হয় দুজনের। এখনও প্রয়োজনে হাথুরুসিংহের কাছ থেকে ফোনে টিপস নেন হেরাথ। সেটিই এখন কাজে লাগছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের।