চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ছুটি থেকে আগেভাগে ফিরে ওয়ালশ কাজ শুরু করেছেন মুস্তাফিজকে নিয়েই। প্রথম কয়েকদিনের অনুশীলনে দেখা গেছে, মুস্তাফিজের হাত, মাথা ও কাঁধের পজিশন ঠিক করে দিচ্ছেন ওয়ালশ। আর বোলিং করাচ্ছেন স্টাম্পের অনেক কাছ ঘেষে।
ওয়ালশ বললেন এসবই। সঙ্গে জানালেন, কাজ করছেন আগের গতি ফেরানো নিয়েও। চোটের আগে নিয়মিতই ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের আশেপাশে বোলিং করতেন মুস্তাফিজ। ইদানিং সেই গতি কমে গেছে বেশ। চেষ্টা চলছে গতি ফিরিয়ে আনার।
“আমি খেয়াল করেছিলাম, ইংল্যান্ডে সে একটু দূরে সরে যাচ্ছিল। আমরা চেষ্টা করছি আরও খাড়া ও সোজাসুজি রাখার (ডেলিভারি স্ট্রাইডে) এবং ব্যালান্সড রাখার। চেষ্টা চলছে ওকে স্টাম্পের আরও কাছাকাছি আনার ও গতিটা আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার।”
অস্ত্রোপচার করে ফেরার পর মুস্তাফিজের অ্যাকশন বদলে ফেলা হয়েছে বলে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও এই প্রশ্ন উঠেছে টুকটাক। ওয়ালশ তাতে বেশ বিরক্ত। আগেই জানিয়েছেন, অ্যাকশনে পরিবর্তন আনা হয়নি। জানালেন, এখন কাজ করার উদ্দেশ্যও অ্যাকশন বদলানো নয়।
“অস্ত্রোপচারের কারণে একটু দূরে সরে যাচ্ছিলো। সে নিজেও সেটি বুঝতে পেরেছে। গত দুদিনে আগের চেয়ে বেশি স্টাম্প ঘেষে বোলিং করেছে। সে ঠিক পথেই আছে। বড় কোনো পরিবর্তন হবে না।”
মুস্তাফিজের নিজের উপলব্ধিটাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন ওয়ালশ। সেই জায়গায় ছাত্রের আগ্রহে শিক্ষক আপাতত মুগ্ধই।
“সে নিজেও জানে কী করতে হবে। ওকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। কারণ মাঠে গিয়ে অনুশীলন নিখুঁত ভাবে করতে সে মুখিয়ে থাকে। সে বিশেষ এক প্রতিভা। হতে চায় সবার সেরা।”
“গত কদিনের আবহাওয়া আমার মতো তাকেও হতাশ করেছে, কারণ আমরা বেশ উন্নতি করছিলাম। সবকিছু ঠিক করতে যা প্রয়োজন, তার সেসব আছে। আমি নিশ্চিত, সে ভালোভাবেই ফিরবে।”
ওয়ালশের আশ্বাসে ভরসা পেতেই পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ম্যাচ জয়ী একজন বোলারকে যে বড্ড প্রয়োজন দলের!