‘বন্ধুসুলভ’ ওয়ালশের কাছ থেকে শিখছেন রাব্বি

মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সেশন নিয়মিত চলছে। কোর্টনি ওয়ালশের ক্লাসে যোগ হয়েছেন ফিটনেস ক্যাম্পে থাকা অন্য পেসাররাও। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর প্রতিদিন নিয়ম করে চলছে বোলিং অনুশীলন। ছাত্রদের একজন, কামরুল ইসলাম রাব্বি মুগ্ধ কিংবদন্তি পেসারের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 11:33 AM
Updated : 23 July 2017, 11:33 AM

বাংলাদেশ দলে ওয়ালশ আর রাব্বির পথচলার শুরু প্রায় এক সময়ে। গত সেপ্টেম্বরে বোলিং কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসেন ওয়ালশ। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে রাব্বির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু।

সেই থেকে রাব্বি খেলেছেন ৫ টেস্ট। কাছ থেকে দেখছেন ওয়ালশকে, বিশ্ব ক্রিকেটের বড় তারকা হয়েও তার বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারে মুগ্ধ রাব্বি। জানালেন, কথা দিয়েই অনেক অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন ওয়ালশ।

“এত বড় মাপের ক্রিকেটার। তার কথাইতো দারুণ। আমরা অনেক উপকৃত হই। সব ক্ষেত্রেই আমরা উপকৃত হয়েছি। তিনি অনেক ফ্রেন্ডলি। এজন্য কাজ করতে আমাদের সুবিধা হয়।”

“আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। ৭-৮ বছর ধরে খেলছি। কম-বেশি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই জানেন তাদের কী করতে হবে। এখানে কোচ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে। তিনি একজন কিংবদন্তি, তার অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সঙ্গে যেভাবে ভাগভাগি করেন, আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি।”

তবে শুধু অনুপ্রেরণা পাওয়াই নয়, টেকনিক্যালিও ওয়ালশের কাছ থেকে শিখেছেন রাব্বি। ৮-৯ বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ঢুকেছেন জাতীয় দলে। ওয়ালশের সঙ্গে এই কয়েক মাস কাজ করেই যোগ করেছেন নতুন অস্ত্র।

“ওয়ালশের সঙ্গে কাজ করে আমার ব্যালান্সে অনেক উন্নতি হয়েছে। বোলিং ব্যালান্সটা ভালো হয়েছে আগের চেয়ে। সুইং ভালো হয়েছে। আমি আগে ইনসুইং পারতাম না, এখন এটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।”

আপাতত স্পট বোলিং দিয়ে এবারের বোলিং সেশন শুরু করেছেন রাব্বি। জানালেন, নতুন কিছু নিয়ে এখনই কাজ করতে চান না। পুরোনো অস্ত্রগুলোই ভালোভাবে ঝালাই করে নিতে চান আরও কার্যকর করে তুলতে।

“ওয়ালশ এখন আমাদের স্পট বোলিং নিয়ে কাজ করছে। কন্ডিশন ক্যাম্পের পর ফুল রিদমে এখনো বোলিং শুরু করা হয়নি। আস্তে আস্তে হবে। নতুন কিছু নয়, আমি এখন যে জিনিসগুলো জানি, সেইসব জিনিসগুলো আরও নিখুঁত করতে চাই। আপাতত আমার লক্ষ্য এটিই।”

রিভার্স সুইংটা মোটামুটি পারেন বলে ঘরোয়া ক্রিকেটে আলাদা কদর আছে রাব্বির। তার স্লিঙ্গিং অ্যাকশনও রিভার্স সুইংয়ের উপযোগী। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও সেভাবে দেখা যায়নি তার এই মারণাস্ত্র। জানালেন, এটি আরও নিঁখুত করা নিয়ে কাজ করবেন তিনি।

“রিভার্স সুইং অনেক দরকারি। ভালো জায়গায় বল রেখে রিভার্স করানোটা গুরুত্বপূর্ণ, যেটা ব্যাটসম্যানকে বিপাকে ফেলে। আগেও পারতাম রিভার্স সুইং। এখন চেষ্টা করছি ভালো জায়গায় রেখে রিভার্স করাতে। হয়ত ৭০-৭৫ ভাগ সময় ভালো জায়গায় রাখতে পারতাম। সেটা ৯০-৯৫ ভাগ হয়ে ভালো হয়। আমি এই সময়ে এই কাজগুলো গুরুত্বসহকারে শিখতে চাই।”

আউটসুইঙ্গারটা তার সহজাত। ইনসুইঙ্গার শিখছেন ওয়ালশের হাত ধরে। সঙ্গে রিভার্স সুইংটাও পুরোপুরি আয়ত্ত করতে পারলে রাব্বি হয়ে উঠতে পারেন দলের সম্পদ।