স্পন্সরদের নাম জড়িয়েও টুর্নামেন্টের কেতাবি নামে মিশে আছে উৎসবের আবহ, “ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল-পাওয়ার্ড বাই স্ক্যান সিমেন্ট।” টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর শুরু হচ্ছে বুধবার। কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমপ্লেক্সের দুটি মাঠে হবে খেলা।
গত আসরে ফাইনাল হয়েছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এবার ফাইনালও কক্সবাজারেই, ২৯ জুলাই।
শনিবার শের-ই-বাংলার মিডিয়া সেন্টারে হয়েছে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফট। টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ছয়টি দল।
বসুন্ধরা গ্রুপ ঢাকা বিভাগ মাস্টার্স দলের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দূর্জয়। সাবেক সতীর্থদের মধ্যে তিনি দলে পাচ্ছেন মোহাম্মদ রফিক, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, সানোয়ার হোসেন, জাকির হাসানকে।
'র নেশন' ঢাকা মেট্রো মাস্টার্সের অধিনায়ক আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ। দলে আছেন নিয়ামুর রশিদ রাহুল, সাজ্জা আহমেদ শিপন, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সরা।
ইস্পাহানি চট্টগ্রাম মাস্টার্সে একসঙ্গে খেলবেন একসময় ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রবল দুই প্রতিপক্ষ আকরাম খান ও মিনহাজুল আবেদীন। শক্তিশালী দলটিতে আরও আছেন এনামুল হক মনি, তারেক আজিজ খান, আহসানউল্লাহ হাসান, সাইফুল্লাহ খান জেম।
একমি রাজশাহী মাস্টার্সের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তার সতীর্থ এবার জাভেদ ওমর, হান্নান সরকার, মঞ্জুরুল ইসলাম, আলমগীর কবির।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন টাইটান খুলনা মাস্টার্সকে নেতৃত্ব দেবেন দেশের সফলতম অধিনায়কদের একজন, হাবিবুল বাশার। ঝড় তোলার জন্য এই দলে আছেন হাসানুজ্জামান ঝড়ু, হারুনুর রশিদ লিটন, মোহাম্মদ সেলিম, আনোয়ার হোসেন মনির, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, জামালউদ্দিন বাবু।
বাকি অন্য বিভাগগুলোর ক্রিকেটারদের ঠিকানা এক্সপো অল মাস্টার্স দল। সাবেক জাতীয় দলের পেসার হাসিবুল হোসেন শান্ত থাকছেন এই দলের নেতৃত্বে। তার সঙ্গী তালহা জোবায়ের, মাসুদুর রহমান মুকুল, এহসানুল হক সেজান।
প্রতি ম্যাচ হবে ১৮ ওভারের। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে ৬টি দল। তবে লড়াই কেবল প্রতিযোগিতার খাতিরে। আয়োজকদের আশা, নামের মতই এটি হয়ে উঠবে উৎসব। এক আকাশ তারার আলোয় আলোকিত মিলন মেলা।