লর্ডসে ২১১ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। নটিংহ্যাম টেস্ট চার দিনেই ৩৪০ রানে জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চার ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
জিততে হলে শেষ দুই দিনে ইংলিশদের করতে হতো আরও ৪৭৩ রান। ম্যাচ বাঁচাতে কাটিয়ে দিতে হতো ছয়টি সেশন। কোনোটারই ধারে কাছে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা। অতিথিদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৪৪.২ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৩৩ রানে।
শুরুটা করেন ভার্নন ফিল্যান্ডার। কিটন জেনিংসকে আউট করে দলকে এনে দেন প্রথম সাফল্য। টেস্ট দলে নিজের জায়গা বাঁচাতে লড়া গ্যারি ব্যালান্স তার দ্বিতীয় শিকার। রুটের কাউন্টি অধিনায়ক যেতে পারেননি দুই অঙ্কেই।
একই পরিণতি হয়েছে রুটেরও। দারুণ এক ইয়র্কারে অধিনায়কের বাধা উপড়ে ফেলেন ক্রিস মরিস। কাগিসো রাবাদার নিষেধাজ্ঞায় খেলার সুযোগ পাওয়া অলরাউন্ডার এরপর ফিরিয়ে দেন কুককে।
উইকেট শিকারে কেশভ মহারাজও যোগ দিলে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ৮৪ রানে নেই প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান।
প্রথম ১৯ বলে কোনো রান না করা মইন আলি যেন হঠাৎ ক্ষেপে গেলেন। টানা তিন চার হাঁকালেন কেশভকে। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মইন ঝড়। ৬টি চারে ২৭ রান করা অলরাউন্ডারকে বিদায় করেন বাঁহাতি স্পিনারই। কেশভকে সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে হেইনো কুনের হাতে ধরা পড়েন মইন।
কেশভের তৃতীয় শিকার স্টুয়ার্ট ব্রড। নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম দুই বলে মার্ক উড, জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেট নিয়ে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন অলিভিয়ের।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ফিল্যান্ডার। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৫ উইকেট। সঙ্গে খেলেন ৫৪ আর ৪২ রানের দুটি কার্যকর ইনিংস।
আগামী ১৭ জুলাই দ্য ওভালে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩৩৫
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২০৫
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৩৪৩/৯ ইনিংস ঘোষণা
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৪৪.২ ওভারে ১৩৩ (কুক ৪২, জেনিংস ৩, ব্যালান্স ৪, রুট ৮, বেয়ারস্টো ১৬, স্টোকস ১৮, মইন ২৭, ডসন ৫*, ব্রড ৫, উড ০, অ্যান্ডারসন ০; মর্কেল ০/৩০, ফিল্যান্ডার ৩/২৪, অলিভিয়ের ২/২৫, মরিস ২/৭, কেশভ ৩/৪২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৪০ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ভার্নন ফিল্যান্ডার