তৃতীয় দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫২ রান। রাজা ৯৭ ও ম্যালকম ওয়ালার ৫৭ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে দুই জনে গড়েছেন ১০৬ রানের জুটি।
অতিথিদের অর্ধেক অর্থাৎ ১২৬ রান এসেছে তৃতীয় সেশনে। এই সময়ে লঙ্কানদের রক্ষণাত্মক বোলিংয়ের পুরো ফায়দা তুলেছেন রাজা ও ওয়ালার। দুই জনের জুটিতে অগ্রণী ছিলেন চতুর্থ অর্ধশতক পাওয়া ওয়ালার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রাজার ওপর থেকে চাপ অনেকটাই সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
নবম ওভারে রাজা যখন ক্রিজে আসেন তখন ধুঁকছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং। স্পিনের জবাব জানা ছিল না প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কারোরই। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইনিংসের শুরুতে ছিলেন আক্রমণাত্মক, দ্রুত রান তুলে সরিয়ে নেন চাপ। পরে ব্যাট করেছেন পরিস্থিতি অনুযায়ী। রাজার ১৫৮ বলের ইনিংসটি গড়া ৭টি চার ও একটি ছক্কায়।
১০ রানের লিড পেয়ে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতে কাঁপিয়ে দেন হেরাথ। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনারের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে অতিথিরা।
রেজিস চাকাভাকে বোল্ড করে শিকার শুরু করেন হেরাথ। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হ্যামিল্টন মাসকাদজাকে। সুরঙ্গা লাকমলের সঙ্গে নতুন বল ভাগ করে নেওয়া হেরাথের তৃতীয় শিকার টারিসাই মুসাকান্দা।
প্রথম ইনিংসে শতক করা ক্রেইগ আরভিনকে বিদায় করেন দিলরুয়ান পেরেরা। রাজার সঙ্গে শন উইলিয়ামের প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি হেরাথ। উইলিয়ামসকে বোল্ড করে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট।
দিনের বাকি সময়টুকু শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ স্পিনারের জন্য শুধুই হতাশার। খুব সহজেই তাকে খেলেছেন রাজা, পিটার মুর ও ওয়ালার। অন্য স্পিনার পেরেরাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। বাড়তি গতির জন্য যা একটু ভুগিয়েছেন পেসার লাহিরু কুমারা।
এই পেসারই ভাঙেন মুরের সঙ্গে রাজার ৮৬ রানের চমৎকার জুটি। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে সীমানা থেকে ২০ মিটার সামনে দাঁড়ানো দানুশকা গুনাথিলকাকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় মুরের ৪০ রানের ইনিংস।
৮৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন হেরাথ। কুমারা ও পেরেরার শিকার একটি করে।
এর আগে রোববার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২৯৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। রিভিউ নিয়ে বাঁচার পরের বলে স্টাম্পড হয়ে হেরাথের বিদায়ে দিনের প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ভাঙে ৪৮ রানের আশা জাগানো জুটি।
লাকমলকে নিয়ে দলকে লিড নেওয়ার খুব কাছে নিয়ে যান আসেলা গুনারত্নে। তবে ৩ রানের মধ্যে দুই জনকে ফিরিয়ে ৩৪৬ রানে শ্রীলঙ্কাকে থামিয়ে দেন ক্রিমার। ৪৫ রানে গুনারত্নেকে বিদায় করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নেন পাঁচ উইকেট।
লেগ স্পিনারের আগের সেরা ছিল ৪ রানে ৪ উইকেট। এবার ৫ উইকেট পেলেন ১২৫ রানে। উইলিয়ামসন ২ উইকেট ৬২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৩৫৬
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১০২.৩ ওভারে ৩৪৬ (করুনারত্নে ২৫, থারাঙ্গা ৭১, মেন্ডিস ১১, চান্দিমাল ৫৫, ম্যাথিউস ৪১, ডিকভেলা ৬, পেরেরা ৩৩, গুনারত্নে ৪৫, হেরাথ ২২, লাকমল ১৪, কুমারা ১*; পোফু ০/৪১, টিরিপানো ১/৩৮, রাজা ০/৬০, ক্রিমার ৫/১২৫, ওয়ালার ০/২, উইলিয়ামস ২/৬২)
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৬৮ ওভারে ২৫২/৬ (মাসাকাদজা ৭, চাকাভা ৬, মুসাকান্দা ০, আরভিন ৫, উইলিয়ামস ২২, রাজা ৯৭*, মুর ৪০, ওয়ালার ৫৭*; লাকমল ০/২৮, হেরাথ ৪/৮৫, পেরেরা ১/৬৯, কুমারা ১/৪৫, মেন্ডিস ০/১৬)