শ্রীলঙ্কার নেতৃত্ব ছাড়লেন ম্যাথিউস

দুদিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক নাও থাকতে পারেন। তবে দিনটি যে এত দ্রুত এসে যাবে, ভাবেননি হয়ত তিনি নিজেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হারই ত্বরান্বিত করল সিদ্ধান্ত। শ্রীলঙ্কার অধিনায়কত্ব ছাড়লেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2017, 06:47 PM
Updated : 11 July 2017, 06:47 PM

সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম ওয়ানডেতে হেরে সিরিজও হেরে বসে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষে ম্যাথিউস জানিয়েছিলেন, এটি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়ের একটি। বলেছিলেন, নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত করবেন নিজের নেতৃত্বের ভবিষ্যত। তার সিদ্ধান্তই বলে দিচ্ছে আলোচনার ফলাফল। মঙ্গলবারই ম্যাথিউস জানিয়ে দিলেন তার সিদ্ধান্ত।

আন্তর্জাতিক অভিষেকের বেশ আগে থেকেই লঙ্কান ক্রিকেট সার্কিটে ম্যাথিউসকে মনে করা হতো ভবিষ্যত শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। সেটিই বাস্তব হয়ে আসে ২০১৩ সালে। ২৫ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব পান ম্যাথিউস। নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩৪ টেস্ট, ৯৮ ওয়ানডে ও ১২টি টি-টোয়েন্টিতে।

টেস্টে তার নেতৃত্বে স্মরণীয় কিছু সাফল্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। দারুণ পারফরম্যান্সে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ম্যাথিউস। যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সব মিলিয়ে আগে মাত্র একটি টেস্ট জিততে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করে ম্যাথিউসের শ্রীলঙ্কা।

ছিল হতাশাও। তার নেতৃত্বে নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় হোয়াইটওয়াশড হয় শ্রীলঙ্কা। বরাবরই যেখানে বেশি উজ্জ্বল শ্রীলঙ্কা, সেই রঙিন পোশাকেই বেশি বিবর্ণ ছিল দল। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুতে লাসিথ মালিঙ্গার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ম্যাথিউসের নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপ, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।

তার নিজের পারফরম্যান্সেও ছিল উঠানামা। ২০১৪ সালে ৮৭.৮০ গড়ে করেছিলেন ১ হাজার ৩১৭ রান। কিন্তু গত কিছুদিনে পারফরম্যান্সে ভাটার টান। সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছিল তার পুরোনো শত্রু চোট। চোটের কারণে গতবছর থেকেই ছিলেন অনিয়মিত, বিভিন্ন সময়ে কাজ চালাচ্ছিলেন উপুল থারাঙ্গা।

বাজে সময়ের ধারাবাহিকতায় সবশেষ সংযোজন ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। যে দলের বিপক্ষে দেশের মাটিতে আগে কখনোই কোনো সংস্করণে একটি ম্যাচও হারেনি শ্রীলঙ্কা, এবার তদের বিপক্ষে হেরে বসল সিরিজই। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়াটা হয়ত খুব কঠিন ছিল না ম্যাথিউসের জন্য।