এক সময় শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের নিচতলায় প্রায় পুরোটা জুড়ে ছিল এসব দোকান। এখন কিছু কমেছে। তবু অনেকটা জুড়েই আছে। স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে এতসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্রিকেট বিশ্বে বিরল। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় হুমকি এগুলো। দোকানগুলো ঘিরে মাদকের আড্ডা বসাসহ আরও অনেক অভিযোগ আছে অনেক দিন ধরেই।
বাংলাদেশের আর বেশিরভাগ স্টেডিয়ামের মত মিরপুর স্টেডিয়ামও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) অধীনে। দোকানগুলো উচ্ছেদের দাবি নিয়ে এনএসসির সঙ্গে বহুবার দেন-দরবার করেছে বিসিবি। কিন্তু কাজ হয়নি। দোকান মালিকদের মামলাকে বড় বাধা হিসেবে দেখিয়েছে এনএসসি। যদিও এনএসসির আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার।
মঙ্গলবার ক্রীড়া সচিব বিসিবিতে এসেছিলেন বোর্ড প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। পাশাপাশি কিছু সমস্যা, পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে। সচিবের কাছে আবারও দোকানগুলো উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে বিসিবি। পরে সংবাদ সম্মেলনে আশ্বাস দিয়ে গেলেন ক্রীড়া সচিব।
“আজকে আলোচনার সময় বিষয়টি উঠে এসেছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখন যে জায়গায় আছে, বিষয়গুলি অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। বিশেষ করে নিরাপত্তার ব্যাপারটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট মাঠে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় এত দোকান থাকে না। আমরা সেই বিষয়টিও ভাবছি।”
“আরও বেশ কিছু ব্যাপার উঠে এসেছে। আমি এসব আজকে শুনে গেলাম। তথ্যগুলো সংগ্রহ করে গেলাম। আমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বসব, বিষয়টি অবশ্যই দেখব। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে বসে এটি নিয়ে কথা বলব। তার পর বিসিবির সঙ্গে আবার কথা বলে দেখব কী করা যায়।”