কোহলির সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত হবে ভারতের কোচ

আগ্রহী প্রার্থীদের কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়ে গেছে। ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরও এগিয়ে আসছে। এই সফরের আগেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল পরবর্তী কোচ। কিন্তু অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা না বলে সিদ্ধান্ত নিতে চায় না ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি (সিএসি)। নতুন কোচ ছাড়াই তাই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে ভারত।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2017, 03:31 PM
Updated : 10 July 2017, 03:45 PM

সিএসিতে আছেন তিন ভারতীয় গ্রেট শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষন। আগেরবারের মত এবারও ভারতের কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব এই কমিটির। আগ্রহী ১০ প্রার্থীর মধ্যে নিজেরা বাছাই করে তারা সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পাঁচজনের, টম মুডি, রবি শাস্ত্রি, লালচাঁন রাজপুত, বিরেন্দর শেবাগ ও রিচার্ড পাইবাস। ফিল সিমন্সকে ডাকলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষৎকার দিতে যাননি সাবেক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।

প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শেষে সোমবার কমিটির হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, কোচ নির্বাচনে কোনো তাড়া দেখছেন না তারা।

“এই মুহূর্তে আমরা তাড়াহুড়োর কিছু দেখছি না। শ্রীলঙ্কা সফর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই। আমেরিকা থেকে বিরাট কোহলি ফিরলে সংম্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলতে চাই আমরা।”

“আমরা ওকে ব্যাখ্যা করব যে কোচরা একটা নির্দিষ্ট ধরনে কাজ করতে চায়। এটা তাই নিশ্চিত করতে হবে যেন আমরা চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়ার আগে সবাই একমত হতে পারে। কারণ কোচ নিয়োগ হবে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।”

অনেকের মতেই ভারতের সেরা অধিনায়ক বলে বিবেচিত সৌরভ। তাদের এই কমিটির মতে, অধিনায়কের মতামতই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

“বিরাটকে এজন্য কৃতিত্ব দিতে হবে যে সে ব্যাপারটি নিয়ে পুরোপুরি সোজাসাপ্টা। ওর কোনো অভিমত নেই, কোনো নাম পাঠায়নি। কিন্তু উপদেষ্টা কমিটির আমরা মনে করি, ক্রিকেটে অধিনায়কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

“আমাদের সবাইকে একমত হতে হবে, কারণ আমাদের কাছে ভারতীয় ক্রিকেট বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্রেফ ছোট্ট অংশ, ক্রিকেটাররাই আসল। কোচের সঙ্গে কাজ করবে ও, খেলবে ওরাই।”

ইংল্যান্ডে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষেই মেয়াদ শেষ হয় আগের কোচ অনিল কুম্বলের। বোর্ড অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত তার মেয়াদ বাড়িয়েছিল, কিন্তু কুম্বলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে থেকে কোহলির সঙ্গে কুম্বলের দ্বন্দ্ব নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। কোহলি যদিও সেটা স্বীকার করেননি। কিন্তু কুম্বলের দায়িত্ব ছাড়ার চিঠিতে সেই দ্বন্দ্বের কথাই উঠে আসে। এজন্যই হয়ত নতুন কোচ নির্বাচনের আগে কোহলির মতামতকে দেওয়া হচ্ছে এতটা গুরুত্ব।