মাশরাফির সঙ্গে দেখা করার তিন সময়

একসময় নড়াইল ছিল তার কাছে অবারিত জগত। চষে বেড়াতেন চারপাশ, ছুটে বেড়াতেন এমাথা থেকে ওমাথা। এখন অনেক সময় বাড়ি থেকে বের হওয়ার জো পর্যন্ত নেই। লোকের ভিড় লেগেই আছে! দিন-রাত জুড়ে প্রতিদিন সবার আবদার মেটানোও মুশকিল। মাশরাফি বিন মুর্তজা তাই ঠিক করে দিয়েছেন সময়। দেখা করতে আসা ভক্তদের জন্যই শুধু আলাদা করে রেখেছেন দিনের তিনটি সময়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2017, 10:57 AM
Updated : 28 June 2017, 10:57 AM

সকাল ১০টা থেকে ১১টা, বিকেল চারটা থেকে সাড়ে চারটা আর রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা, নড়াইলে দেখা করতে যাওয়া ভক্তরা এই তিনটি সময়ে পাচ্ছেন মাশরাফির সান্নিধ্য। দেখা করা, হাত মেলানো, ছবি-অটোগ্রাফের আবদার মেটাচ্ছেন অধিনায়ক।

দেশের জনপ্রিয় তারকাদের একজন হলেও নড়াইলে বরাবরই নিজেদের ‘কৌশিক’ হয়েই ছিলেন মাশরাফি। ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলে ফেরার পর বাড়ি গিয়ে পরিবর্তনটা প্রথম টের পান অধিনায়ক। নড়াইল শহর ও আশেপাশের লোকজন ভিড় জমাতে থাকেন বাড়িতে, দূর-দূরান্ত থেকেও আসতে থাকেন অনেকে।

মাশরাফি বরাবরই সাধ্যমত মেটান ভক্তদের নানা আবদার। গত দু বছরে ক্রমে বেড়েছে ভক্তদের ভিড়। মাশরাফি নড়াইল গিয়েছেন জানতে পারলেই ছুটে আসেন অনেকে। এবার ঈদের ছুটিতে নড়াইল যাওয়ার পর পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার অবস্থা। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাশরাফি জানালেন, অবস্থা বুঝেই নিয়েছেন বিশেষ ব্যবস্থা।

“নড়াইলে আসিই একটু অবাধে ঘুরে বেড়াতে। পরিবারের সঙ্গে কিছু একান্ত সময় কাটাতে। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে একটু চনমনে হয়ে ফিরতে। এখন এসব একটু কঠিন হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেকে আসেন দেখা করতে। সেই রংপুর, চুয়াডাঙ্গা থেকেও লোকজন আসছে। আশেপাশের জেলা থেকে তো আছেই।”

“নড়াইলে এলে একটু নিজের মত থাকতে চাই। তবে যারা আসেন, তাদের আবেগ, ভালোবাসাটাও বুঝি। কাউকে হতাশ করতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা সময়ে লোকজন আসতেই থাকে। সবাইকে আলাদা করে সময় দেয়া কঠিন। এজন্যই দিনে দুটি সময় ঠিক করে দিয়েছি। অনেকে দেখেছি সন্ধ্যায়-রাতে আসেন, এজন্য রাতে আরেকটা সময় দিয়েছি। অনেকের এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। এছাড়া আর উপায় ছিল না।”

নড়াইলে এবার একটু লম্বা সময়ই থাকছেন মাশরাফি। ঢাকায় ফেরার কথা আগামী শনিবার। ১০ জুলাই থেকে শুরু হবে আগামী মৌসুমের আগে ফিটনেস ক্যাম্প।