নখকামড়ানো উত্তেজনার ম্যাচে ৩ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার কার্ডিফে হবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।
জয়ের জন্য শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান। আগের বলে চার হাঁকিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখা লিয়াম ডসন এবার সফল হননি। ফেলুকওয়ায়োর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সিরিজে টিকে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টনটনের কাউন্টি মাঠের অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৬ উইকেটে ১৭১ রানে থামে ইংল্যান্ড।
জেজে স্মাটস ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে শুরুটা ভালো ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। দুই জনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৬ রানের দৃঢ় ভিত পায় অতিথিরা। ৩৫ বলে ৪৫ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান স্মাটস।
আগের ম্যাচে ‘মন্থর’ ব্যাটিং করা ডি ভিলিয়ার্স এবার ছিলেন স্বরূপে। অধিনায়ক ফিরেছেন ২০ বলে ৪টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৬ রান করে। শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ফারহান বেহারডিন। ২১ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে করেন ৩২ রান।
মাত্র একটি বলই খেলেন ড্যান প্যাটারসন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষ বলে চার হাঁকান তিনি। নিজেদের শেষ বলে সেই কাজটিই করতে পারেননি ডসন।
অভিষেকে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন টম কুরান। ২ উইকেট লিয়াম প্লানকেট।
শুরুতেই স্যাম বিলিংসকে হারানো ইংল্যান্ডকে কক্ষপথে রেখেছিলেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। দুই জনের ১১০ রানের জুটিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের আশা জাগিয়েছিল স্বাগতিকরা।
৩৭ বলে ৪৭ রান করা বেয়ারস্টোকে আউট করে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন ক্রিস মরিস। তার পরের ওভারে ফিল্ডিংয়ে বাধা দিয়ে আউট হন ছন্দে ফেরা রয়। এই বিস্ফোরক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৪৫ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় খেলেন ৬৭ রানের চমৎকার এক ইনিংস।
দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে হারানো ইংল্যান্ডের ত্রাতা হতে পারেনন জস বাটলার, ওয়েন মর্গ্যান। অভিষেকে নায়ক হওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষের দিকে সুযোগ এসেছিল ডসনের সামনেও। তবে তিনিও হতাশ করেছেন দলকে।
মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার মরিস। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া বোলিংয়ের জন্য তিনিই জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। প্যাটারসন ৩২ ও ফেলুকওয়ায়ো ৩৪ রানে নেন ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৭৪/৮ (স্মাটস ৪৫, হেনড্রিকস ৭, মোসেলে ১৫, ডি ভিলিয়ার্স ৪৬, মিলার ৮, বেহারডিন ৩২, মরিস ১২, ফেলুকওয়ায়ো, মরকেল ০*, প্যাটারসন ৪*; উইলি ১/২৯, জর্ডান ১/৩৮, কুরান ৩/৩৩, প্লানকেট ২/৩৬, ডসন ১/৩৮)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭১/৬ (রয় ৬৭, বিলিংস ৩, ৪৭, লিভিংস্টোন ১৬, বাটলার ১০, মর্গ্যান ৬, ডসন ৭*, প্লানকেট ০*; মরকেল ০/৪৩, মরিস ২/১৮, প্যাটারসন ১/৩২, ফেলুকওয়ায়ো ১/৩৪, স্মাটস ০/১১, শামসি ০/২৪)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্রিস মরিস