রাজস্ব বন্টনে আইসিসি-বিসিসিআইয়ের সমঝোতা

আয়ের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে অবশেষে একটা সমঝোতায় পৌঁছেছে আইসিসি ও বিসিসিআই। এপ্রিলে আইসিসির সভায় বেশিরভাগ সদস্যদের ভোটে ঠিক হওয়া নতুন রাজস্ব বন্টন কাঠামোয় যে পরিমাণ অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ভারতের তার চেয়ে ১০ কোটি মার্কিন ডলারের কিছু বেশি পাবে তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2017, 02:21 PM
Updated : 22 June 2017, 02:24 PM

তুলনায় অনেক কম রাজস্ব পাবে অন্য বোর্ডগুলো। বৃহস্পতিবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়।

প্রভাবশালী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাবে মোট ৪০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এপ্রিলে নির্ধারিত হওয়া অঙ্কের চেয়ে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার বেশি।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোয় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬-২৩ পর্যন্ত আইসিসির মোট আয় ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। সব খরচ বাদ দিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় ১৭৮ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১৫০ কোটির কিছু বেশি পাবে সংস্থার স্থায়ী সদস্য দেশগুলো আর সহযোগী দেশগুলো পাবে ২৪ কোটি মার্কিন ডলার।

বিসিসিআই পাবে ৪০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ইসিবি পাবে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট, ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার করে। দেখা যাচ্ছে, এপ্রিলে সভায় ঠিক হওয়া পরিমাণের চেয়ে এই আট স্থায়ী সদস্য দেশই ৪০ লাখ ডলার করে কম পাবে।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট অবশ্য এপ্রিলে ঠিক হওয়া ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারই পাবে।

প্রথমে আইসিসির রাজস্ব থেকে ৫৭ কোটি ডলার পাওয়ার দাবি ছিল ভারতের। তাদের বিরোধিতার মুখে সংস্থার চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বাড়তি ১০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু নিজেদের দাবিতে স্থির থাকে তারা।

এপ্রিলের সভায় আইসিসির নতুন রাজস্ব কাঠামোর বিরোধিতা করা একমাত্র সদস্য ছিল ভারত। অন্য দেশগুলোর প্রবল সমর্থন পেয়ে প্রস্তাবটি পাস হয় ৯-১ ভোটে।

পাস হওয়া নতুন ওই প্রস্তাবে আগামী রাজস্ব সার্কেলে বিসিসিআইয়ের ২৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার পাওয়ার কথা ছিল। তবে তাদের প্রবল আপত্তির মুখে মনোহর ভারতকে সমঝোতায় এলে প্রাপ্যর চেয়ে আরও প্রায় ১০ কোটি ডলার বেশি দেওয়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

কিন্তু বিসিসিআই তাদের দাবি ৫৭ কোটি ডলারে স্থির থেকে ভোটে হেরে যায় এবং পরবর্তীতে বেঁকে বসে। সম্প্রতি শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়েও গড়িমসি করতে থাকে তারা। তবে অন্য কোনো উপায় না দেখে নিজেদের অনড় অবস্থা থেকে সরে আসতে থাকে তারা। আর শেষ  পর্যন্ত বলতে গেলে মনোহরের প্রস্তাবই মেনে নিল ভারত।