পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ে কোহলির শিক্ষা

ফেভারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নেমে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে এমন নাস্তানাবুদ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড হতাশ বিরাট কোহলিরা। তবে এক হারেই সবকিছুর শেষ দেখছেন না ভারত অধিনায়ক, বরং এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় তার কণ্ঠে। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2017, 03:33 PM
Updated : 19 June 2017, 03:49 PM

দুই সপ্তাহ আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১২৪ রানে হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ভারত। রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সেই দলের কাছেই ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ বরাবরই বিশ্বসেরা; দারুণ ফর্মেও ছিলেন রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, কোহলিরা। পেস আক্রমণে ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহদের উপস্থিতির পাশাপাশি অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা থাকায় দলটির বোলিং বিভাগও দারুণ শক্তিশালী।

কিন্তু লন্ডনের কেনিংটন ওভালে তাদের কোনো অস্ত্রই কাজে আসেনি। ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলিদের রান তোলার জোয়ারে ভুবনেশ্বর ও পান্ডিয়া ছাড়া কেউই তেমন একটা বাঁধ দিতে পারেনি।

প্রতিটি বিভাগে এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর কোনো কারণ দেখানোর চেষ্টাই করেননি কোহলি। মেনে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের শ্রেষ্টত্ব।

সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, “তারাও নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে ও ম্যাচ জিততে এসেছিল এবং তারা নিশ্চিতভাবেই সেটা করেছে।”

“তারা আমাদেরকে ওই ভুলগুলো করতে বাধ্য করেছিল। কারণ, তারা যেভাবে বল করেছে এবং যেভাবে চাপ তৈরি করেছে তাতে আমরা আজ আমাদের সেরাটা খেলতে পারিনি-আর তা স্বীকার করতে আমার কোনোরকম দ্বিধা বা লজ্জা নেই।” 

প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলতে নামা পাকিস্তান টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ৩৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৩৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে পথহারা ভারত গুটিয়ে যায় ১৫৮ রানে।

“শুরুতেই উইকেট হারানো কখনোই ভালো নয়, বিশেষ রান তাড়া করার সময়। আর এরপর আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি। ...প্রতিপক্ষের প্রশংসা প্রাপ্য।"