২০১৫ বিশ্বকাপ মনে রাখেননি মাশরাফি-কোহলি

মাঝে পেরিয়ে গেছে দু্ই বছরের বেশি। দুদল এরপর মুখোমুখিও হয়েছে আবার। সেই ম্যাচগুলিও ছড়িয়েছে উত্তেজনা, রোমাঞ্চ, বিতর্ক। তারপরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমি-ফাইনালের আগে উঠে এলো ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল। মেলবোর্নে যে ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদক বার্মিংহাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2017, 03:24 PM
Updated : 14 June 2017, 04:29 PM

গত দু বছরে দুই দেশের ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের যে উত্তেজনার বারুদ, সেটার সূচনা বলা যায় সেই ম্যাচ থেকেই। আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত নিয়ে সেসময় বাংলাদেশের অনেকের মাঝেই ছিল প্রচণ্ড ক্ষোভ। সেটির রেশ রয়ে যায় পরেও, ছড়িয়ে যায় আরও।

ওই বিশ্বকাপের পরই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পরের বছর এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙে ভারত জিতেছে ১ রানে।

আরেকটি বিশ্ব আসরে যখন মুখোমুখি হচ্ছে দু দেশ, দুই অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনেই উঠে এলো ২০১৫ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ। তবে চারপাশের আবহ যেমনই থাকুক, সেসবে গা মেলাচ্ছে না কোনো দলই।

সেই ম্যাচ টেনে আনায় তো অনেকটা আকাশ থেকেই পড়লেন বিরাট কোহলি।

“২৪ মাসের বেশি হয়ে গেছে! আমি সত্যিই মনে করি না সেই ম্যাচ কেউ ভাবছে পর্যন্ত। এরপর পরস্পরের বিপক্ষে আমরা এত ম্যাচ খেলেছি! আর অবশ্যই আমরা কারও কাছে কিছু প্রমাণ করতে নামছি না। আমরা স্রেফ ভালো একটি ম্যাচ খেলতে চাই। অতীতে কি হয়েছে, সেসব নিয়ে কেউ ভাবছে না।”

একই প্রশ্ন উঠল মাশরাফির সংবাদ সম্মেলনেও। বাস্তবতাটা জানেন বলেই অধিনায়ক জানতে চাইলেন সুনির্দিষ্ট করে, সমর্থকেরা নাকি দল? তার ভালো করেই জানা, সমর্থকেরা ওই ম্যাচ টেনে আনবেই। তবে দলের ভাবনায় ভারতীয় অধিনায়কের সুর বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠেও।

“ওই ম্যাচের পর আবার তিনটি ওয়ানডে খেলেছি, তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছি। ওই ম্যাচ আমরা অবশ্যই ভুলে গেছি। বিরাট যেমন বলেছে, দুই বছরের বেশি হয়ে গেছে। কাল আরেকটি নতুন ম্যাচ। আমাদের মনোযোগ, ভাবনা জুড়ে স্রেফ এই ম্যাচই।”

কে জানে, এই ম্যাচই হয়ত সত্যিকার অর্থে ভুলিয়ে দিতে পারে সেই ম্যাচ। যদি আবারও দেখা যায় একটি আগুনে লড়াই!