রানে ভরা এজবাস্টনের উইকেট

প্যাড-গ্লাভস পরে ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে এলেন সৌম্য সরকার। ব্যাটিং করতে যাবেন নেটে। সিড়ির নিচেই দাঁড়িয়ে ম্যানেজার আকরাম খান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সৌম্যকে দেখে অধিনায়ক বললেন, “উইকেট দেখছিস? কোনো কথা হবে না, গিয়ে শুধু ধুমধাম মারবি।”

ক্রীড়া প্রতিবেদক বার্মিংহাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2017, 02:02 PM
Updated : 14 June 2017, 04:29 PM

এমনিতে সৌম্যকে “ফ্রি লাইসেন্স” দেওয়া থাকে প্রায় সব ম্যাচেই। তবে ভারতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের আগের দিন সেটি আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়ার কারণ উইকেট। ম্যাচের আগে এজবাস্টনের ২২ গজকে মনে হচ্ছে ব্যাটিং স্বর্গ।

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে উইকেট ও সম্ভাব্য একাদশের প্রসঙ্গ অবধারিত। মাশরাফি ইঙ্গিতটা দিয়ে রাখলেন।

“উইকেট যেমন দেখেছি, মনে হচ্ছে হাই স্কোরিং উইকেট। চিন্তা করতে হবে, সবার সঙ্গে কথা বলে ঠিক করতে হবে একাদশ। সম্ভব সেরা দল নিয়েই নামার চেষ্টা করব।”

যতদূর জানা গেছে, কথা-টথা হয়েও গেছে। শেষ মুহূর্তে কোনো ইনজুরি বা ভাবনার বদল না হলে নিউ জিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ।

একাদশে খুব বদলের সুযোগও অবশ্য ছিল না। ব্যাটিং লাইন আপ একরকম নির্ধারিতই। তিন নম্বরে সাব্বির রহমানের ওপরই আস্থা কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের। তাই ব্যাটিং অর্ডারও থাকছে একই।

একমাত্র বদল হতে পারত চার পেসারের একজনের বদলে আবার স্পিনে ফেরা। তবে কার্যকরি ফর্মূলায় নড়চড় করছে না দল। চার পেসার নিয়েই নামছে আবার।

ব্যাটিং উইকেটে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের সামনে চার পেসারের কাজটি সহজ হবে না। চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন মাশরাফি।

“ওভালের উইকেটের মতোই (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) মনে হচ্ছে। কাজটা সহজ হবে না। তবে অভিযোগের সুযোগ নেই। উইকেট যেমনই হোক, আমাদের মানিয়ে নিয়ে বোলিং করতে হবে।”

মানিয়ে নিলেও হয়ত এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখা কঠিন হবে। বাংলাদেশ-ভারতের সেমি-ফাইনাল হয়ত তাই হতে যাচ্ছে বড় রানের লড়াই।