পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলেন। হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা চলল বেশ কিছুক্ষণ। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারে খেলেছেন হাসি। থান্ডারের কোচ তখন হাথুরুসিংহে। দুজনের ঘনিষ্ঠতা সে সময় থেকেই।
হাসির তাড়া ছিল, হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা শেষেই ছুটে যাচ্ছিলেন কাজে। বাংলাদেশের সংবাদকর্মী পরিচয় পাওয়ার পর দুই মিনিট সময় দিতে রাজি হলেন। আইসিসির দূত হিসেবে এসেছেন এই টুর্নামেন্টে। জানালেন, কোচের সঙ্গে কথোপকথনে এতক্ষণ বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসাই করছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে উঠে অনেককেই চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে হাসির কাছে এটা চমক নয়। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বলেছিলেন, বাংলাদেশকে সেমিতে দেখে অবাক হবেন না তিনি। কোন বিশ্বাস থেকে সেটি বলেছিলেন?
হাসির উত্তর বুঝিয়ে দিল, বাংলাদেশ দলের খবর তিনি বেশ ভালোই রাখেন।
“দলটা দেখেই বিশ্বাস জেগেছিল। দলে মূল ক্রিকেটাররা সবাই অনেক দিন ধরে একসঙ্গে খেলছে। এই অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বড় সম্পদ। বিশেষ করে এই ধরনের টুর্নামেন্টে চাপের মধ্যে অভিজ্ঞতা খুব কাজে লাগে। দলটা ক্রমশ উন্নতি করছে, আত্মবিশ্বাসও ছিল। আর যদি ওরকম একজন কোচ থাকে (হাথুরুসিংহেকে দেখিয়ে), তাহলে তো কথাই নেই! সব মিলিয়েই বলেছিলাম…।”
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের রান তাড়া দেখেছেন হাসি। যে অবস্থা থেকে জিতেছে দল, সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের চোখে সেটি ছিল অসাধারণ।
“দুজনই দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। চাপের মধ্যে এর চেয়ে ভালো ব্যাটিং আর হয় না। অভিজ্ঞতার কথা বলছিলাম। ওদের দুজনের অভিজ্ঞতা এখানেই কাজে লেগেছে। অসাধারণ ব্যাটিং করেছে দুজন।”
ওই দুজনের অসাধারণ ব্যাটিং অবশ্য কপাল পুড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশের জয়ের পর অস্ট্রেলিয়াকে জিততেই হতো। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেই হতাশা লুকালেন না হাসি। তবে বাংলাদেশের প্রশংসাতেও কার্পন্য নেই।
“অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া হেরেছে বলে হতাশ। তবে বাংলাদেশ দারুণ ক্রিকেট খেলে যোগ্য হিসেবেই উঠেছে সেমিতে। আশা করি সেমি-ফাইনালেও দারুণ খেলবে ওরা।”
বাংলাদেশের সবার হাসিমুখ কামনা করে হাসিমুখে বিদায় নিলেন হাসি। জানিয়ে রাখলেন, সেমি-ফাইনালটিও দেখবেন খুব আগ্রহ নিয়ে।