সেই বাউন্ডারির রোমাঞ্চে ডুবে আছেন মোসাদ্দেক

সকালে একটু জিম করেই ছুটি। দুপুরের দিকে সানজামুল ইসলামের সঙ্গে বের হয়ে যাচ্ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। মুখে সবসময়ের মতোই লেগে আছে হাসি। চোখে-মুখে রোমাঞ্চ। সেমি-ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ!

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনি বার্মিংহাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2017, 03:39 PM
Updated : 12 June 2017, 05:18 PM

দলকে সেমি-ফাইনালে পথে এনে দিয়েছে যে জয়, সেই জয়ের মুহূর্তটি আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকেই। অ্যাডাম মিল্নের বলে তার বাউন্ডারিতেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ধাপ পেরোয় বাংলাদেশ।

“জয়সূচক রান…আপনি তো দারুণ লাকি!” বলতেই হাসি আরও চওড়া হলো মোসাদ্দেকের, “দারুণ লাকি ভাই। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত ব্যাপার! ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকবারই আমার শটে জিতেছে দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবার। সেটাও এমন একটা ম্যাচে…।”

এমন একটা সুযোগ আসবে, ভাবতেও পারেননি মোসাদ্দেক। প্যাড-ট্যাড পরে যখন বসে আছেন, তখন ভাবনায ছিল স্রেফ লড়াই করা। দল তখন ধুঁকছিল, মোসাদ্দেক ভাবছিলেন গিয়ে যতক্ষণ সম্ভব ব্যাট করতে হবে।

“সত্যি বলতে, ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর তো ভাবতে পারিনি জিতব। সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই খেলছিল। আমি ভাবছিলাম যখনই যাব, গিয়ে লম্বা সময় উইকেটে থাকার চেষ্টা করব। কিন্তু সাকিব ভাই ও রিয়াদ ভাই দারুণ খেললেন।”

দল যখন জয়ের কাছে, তখনই মোসাদ্দেকের মাথায় খেলতে শুরু করে জয়সূচক রান। ঠিক করে ফেলেন, ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলে শেষ পর্যন্ত থাকবেন।

“অবশ্য চেয়েছি উনারা দুজনই শেষ করে আসুক। কিন্তু নামতে যখন হলোই, চেয়েছি জয়ের রানটা আমি করব। যখন ২ রান দরকার, ওরা দেখি ফিল্ডার কাছাকাছি এনেছে সব, তখনই ঠিক করে ফেলি বাউন্ডারি মেরে দলকে জেতাব। সেটিই হলো। এখনও পর্যন্ত জীবনের সেরা মুহূর্ত বলতে পারেন।”

সেই মুহূর্তের রোমাঞ্চেই ডুবে আছেন মোসাদ্দেক। কে জানে, আরও সেরা মুহূর্ত আসতে পারে পরের ম্যাচেই!