দলের প্রাপ্তিতেই তামিমের খুশি

টিম হোটেলের বাইরে আড্ডা দিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। হোটেল থেকে বেরিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন ক্রিস ব্রড। তামিমকে দেখে এগিয়ে এলেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি। মুখের সামনে আঙুল তুলে বললেন, “তুমি সেঞ্চুরি করেছো, ৯৫ করেছো, কিন্তু দল জেতেনি। তুমি ডাক মেরেছো, দল জিতেছে….!”

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনি কার্ডিফ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2017, 03:15 PM
Updated : 11 June 2017, 04:38 PM

তামিমও কম যান না, “তুমি জানো, গত দু বছরে দলের জয়ে আমার গড় কত? পরিসংখ্যান দেখে আসো…!” পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১৫ বিশ্বকাপের পর টেস্টে বাংলাদেশের জয়ে তামিমের গড় ৬৮.৭৫, ওয়ানডেতে ৬৮.৯৩, টি-টোয়েন্টিতে ৫৮।

ব্রড অবশ্যই তখনই পরিসংখ্যান দেখতে বসে গেলেন না। ওসব ছিল মজা, খুনসুটি। পিঠ চাপড়ে দিলেন তামিমের, অভিনন্দন জানালেন বাংলাদেশ সেমি-ফাইনালে ওঠায়।

এই বাহবাকেই সবচেয়ে বড় পাওয়া মানছেন তামিম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে তিনিই টেনেছেন দলকে। তবে জ্বলে উঠতে পারেনি দল। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ফিরেছেন ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। শুরুতে ধুঁকেছে দল। কিন্তু জিতেছে শেষে। তামিম উচ্ছ্বসিত তাতেই।

“ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আমরা আনন্দে ভাসি সেটা দলের জন্য খেলি বলেই। দিনশেষে দলই সবকিছুর আগে। আমি তামিম বা অন্য কেউ কী করল, সেটা বড় নয়। দলের জয়টাই সবচেয়ে বড়। দল জিতেছে, তাতেই মন ভরে গেছে।”

নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে শূন্য রানে আউটের চেয়ে তামিমকে বরং তখনো বেশি পোড়াচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৫ রানে আউট হওয়া।

“দল না জিতলে আক্ষেপ করতাম। দলের জয়ের পর শূন্য রান করলে কিছু যায়-আসে না। ক্রিকেটের নিয়মে খারাপ দিন আসতোই। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটার জন্য বরং খারাপ লাগে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারলে দারুণ হতো!”

টানা দুই ম্যাচে না হোক, টুর্নামেন্টে দুটি সেঞ্চুরির সুযোগ তো এখনও আছেই! আগে থেকে কিছু বলায় তামিমের বরাবরই আপত্তি।

“দেখা যাক। ক্রিকেট খেলায় কিছু আগে থেকে বলা যায় না। আমার দিক থেকে চেষ্টা কমতি কখনোই ছিল না, থাকবেও না।”

ওই চেষ্টা করাই আসল। কষ্ট করলে কেষ্ট মিলবেই!