রোমাঞ্চ নিয়ে শেষের লড়াই

হিসাবটা পরিস্কার। টিকতে হলে জিততে হবে। ম্যাচটা কি তবে চাপের? নাকি রোমাঞ্চের? কিছু করে দেখানোর সুযোগ? নাকি আর সব ম্যাচের মতো! রোমাঞ্চ শব্দটিই লুফে নিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিউ জিল্যান্ড ম্যাচের আগে রোমাঞ্চিত ড্রেসিং রুমই দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কার্ডিফ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2017, 04:06 PM
Updated : 8 June 2017, 04:16 PM

বাংলাদেশের টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যেতে পারত কার্ডিফে আসার আগেই। এখন কার্ডিফ থেকে নিতে পারে নতুন মোড়। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পথে ছিল দল। সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় পাওয়া একটি পয়েন্ট টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে পারলে আর পর দিন ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়া হারলে বা ওই ম্যাচও বৃষ্টিতে ভেসে গেলে সেমি-ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।

বাঁচামরার ম্যাচের আগে ড্রেসিং রুমের আবহটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- ছেলেদের মানসিকতা, ম্যাচটির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। সুযোগটা কি চাপ? নাকি চাপের চেয়ে সুযোগটাই বড়! মাশরাফি তুলে ধরলেন ইতিবাচক ছবিটাই। দলের ওপর সমর্থকদের প্রত্যাশার পাহাড় চেপে বসলেও বাস্তবতা আগে থেকেই জানত দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অধিনায়ক যেটি বলেছেন, সেটি মনে করিয়ে দিলেন আবার।

“সবাই বরং রোমাঞ্চিত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আসার আগে আমরা জানতাম তিনটি ম্যাচেই হারতে পারি। আবহাওয়া, কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ সব আমাদের বিরুদ্ধে। আর সুনির্দিষ্ট জায়গায় যেখানে ম্যাচের ভাগ্য গড়া হয়, সেখানে ওদের সম্ভাবনা বেশি। কারণ সাত-আটে ওদের ম্যাচ জেতানোর ক্রিকেটার আছে সবার। আমাদের সেখানে ঘাটতি আছে। সব মিলিয়ে সত্যি বলতে তিনটি ম্যাচেই হারার শঙ্কাই বেশি ছিল। অনেকেই হয়ত এটা বুঝতে চাইবে না। কিন্ত এটাই বাস্তবতা।”

সেই শঙ্কা থেকে এখনও সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন বেঁচে আছে, এটিই ফুরফুরে করে তুলেছে দলকে। শেষটা ভালো করার তাড়নাও উজ্জীবিত করছে দলকে।

“একটা গ্রুপ হিসেবে আমরা আমাদের শক্তির দিকটা জানি, দুর্বলতাও জানি। শক্তির দিক নিয়েই আমরা ভাবছি। সেগুলো কিভাবে বাড়িয়ে ম্যাচ জেতা যায়, সেটা ভাবছি। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে কী হয়েছে, সেসব না ভেবে সামনে তাকাচ্ছি।”

“ড্রেসিং রুমে দেখে যা বুঝতে পারছি, সবার মধ্যে রোমাঞ্চটাই বেশি কাজ করছে। এই ম্যাচটা আমরা ভালভাবে শেষ করতে পারলে অবশ্যই শেখার ব্যাপার থাকবে, একই সঙ্গে সফর ভালো ভাবে শেষ হবে।”

সেমি-ফাইনাল ভাবনায় বিভোর হয়ে এই দলের চনমনে ভাবটাকে নষ্ট করতে চান না অধিনায়ক। যেটা নিজেদের হাতে নেই, ভাবতে চান না সেসব নিয়েও।

“সেমি-ফাইনাল তো আসলে আরও দুই ধাপ পরে। আমাদের আগে জিততে হবে। তার পর অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হবে। নিজেদের ম্যাচটি আগে ভালোভাবে খেলে শেষ করতে হবে।

নিজেদের সেরা খেলাটি খেলতে চেষ্টা করতে হবে। তাহলে সান্ত্বনা থাকবে যে ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি।”

শুধু সান্ত্বনা নয়, সত্যি বলতে ম্যাচটি জিততে পারলে সেটি হবে বড় তৃপ্তি! এই কন্ডিশনে র‌্যাঙ্কিংয়ে ওপরে থাকা তিনটি দলের গ্রুপে একটি ম্যাচ জয়ও কম নয়!