উইকেট দেখতে তো আসলে খুব বেশি সময় লাগে না। সময়টা লাগল উইকেট দেখার পর সেটির পর্যালোচনায়। দুপুরে মাঠে এসেই সোজা উইকেট দেখতে চলে গিয়েছিলেন মাশরাফি ও চন্দিকা হাথুরুসিংহে। উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া। অধিনায়ক নিজে পেসার। হালকা ঘাস দেখেই হয়ত একটু রোমাঞ্চিত হয়ে অদৃশ্য ব্যাটসম্যান কল্পনা করে বোলিং করার ভঙ্গি করলেন কয়েকবার।
উইকেটের পাশে দাঁড়িয়ে কোচ-অধিনায়কের কথোপকথন চলল অনেকক্ষণ। পরে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানালেন উইকেট কেমন দেখেছেন।
“উইকেটে এখনও একটু ঘাস দেখা যাচ্ছে। হয়ত আরও কাটতে পারে। এখনও নিশ্চিত নই। খেলার দিন সকালেও ঘাস কাটে। তাই ম্যাচের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
উইকেটের চুড়ান্ত রূপ দেখা যাবে ম্যাচের সকালেই। তবে যতদূর জানা গেল, সিদ্ধান্ত এরকম হয়েই গেছে একাদশ নিয়েই। উইকেটে যেটুকু ঘাস আছে, সেটা আরও কাটা হবে নিশ্চিতভাবেই। তার পরও সামান্য ছোঁয়া থেকে যেতে পারে। সেটাও যদি না থাকে, তবু চার পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। কোনো কারণে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্তে বদল না এলে এটিই চূড়ান্ত।
মাশরাফি-মুস্তাফিজ-রুবেল-তাসকিন, এই পেস চতুষ্টয় নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে নামছে বাংলাদেশ। একাদশে পরিবর্তন আসছে আরও একটি। দুই ম্যাচে তিন নম্বরে সুযোগ দেওয়া হলেও কাজে লাগাতে পারেননি ইমরুল কায়েস। তার বদলে একাদশে ফিরছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বেশ কিছুদিন তিন নম্বরে খেলানো হয়েছে সাব্বির রহমানকে। কিন্ত টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভাবনায় বদল আসে কোচের। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানো থেকে বাঁচতে ইমরুলকে তিনে খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়, যাতে তিনি একটু ধরে খেলতে পারেন। দলের চাওয়া পূরণ করতে পারেননি ইমরুল। মোসাদ্দেককে নিচে জায়গা দিয়ে তাই আবার তিনে ফিরছেন সাব্বির।
তবে শুধু দুই ম্যাচে ইমরুলের ব্যর্থতাই নয়, মোসাদ্দেককে ফেরানোর পেছনে আরেকটা কারণ বোলিংও। মিরাজ না থাকায় মোসাদ্দেকের অফ স্পিন কাজে লাগবে দলের। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার মতো ছিলেন কেবল ইমরুলই।
চার পেসারের সঙ্গে সাকিব আল হাসান, প্রয়োজনে মোসাদ্দেক-সাব্বির-মাহমুদউল্লাহ। এই হলো বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। চার পেসার নিয়ে ২০১৫ সালে দেশের মাটিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার অপেক্ষা আরেকটি স্মরণীয় জয়ের!