নিউ জিল্যান্ড বলেই আশায় সাকিব

লন্ডন থেকে বাংলাদেশ দলকে বিদায় জানিয়েছে বৃষ্টি। কার্ডিফে স্বাগত জানাল বাতাস। তীব্র ও ঠাণ্ডা বাতাস। লন্ডনের চেয়ে কার্ডিফে তাপমাত্রা কম তো বটেই, বাতাসের কারণে মঙ্গলবার শীত লেগেছে আরও বেশি। থেমে থেমে বৃষ্টিও হয়েছে কয়েকবার। বৃষ্টি হয়েছে রাতেও। সেটা দেখে মাশরাফিদের ভালো লাগার কারণ নেই!

ক্রীড়া প্রতিবেদক কার্ডিফ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2017, 05:13 AM
Updated : 7 June 2017, 05:13 AM

বৃষ্টির নিয়ে রোমান্টিসিজমের পালা আপাতত শেষ। বাংলাদেশ এখন অস্ট্রেলিয়ার জায়গায়। অস্ট্রেলিয়ার জন্য প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি ছিল আশীর্বাদ, পরের ম্যাচে অভিশাপ। বাংলাদেশের জন্যও আগের ম্যাচে সৌভাগ্য বয়ে আনা বৃষ্টি পরের ম্যাচের জন্য শঙ্কা। এই ম্যাচ ভেসে গেলে তাতে ডুবে যাবে বাংলাদেশের আশার তরীও।

কিন্তু ডুবতে নয়, এই ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশ তীরে ভেড়াতে চায় স্বপ্নের তরী। আগের দুটি ম্যাচ থেকে যদিও প্রাপ্তি সামান্য, তবু স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছে দল। প্রতিপক্ষ যে নিউ জিল্যান্ড!

জিম্বাবুয়ের পর ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডকেই সবচেয়ে বেশি বার হারিয়েছে বাংলাদেশ, যার সবশেষটি এখনও টাটকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই ত্রিদেশীয় সিরিজে, আয়ারল্যান্ডে।

এই কন্ডিশনে আরও একবার নিউ জিল্যান্ডকে হারানো সহজ হবে না অবশ্যই। তবে মনস্তাত্ত্বিক দিকটি দারুণভাবে তুলে ধরলেন সাকিব আল হাসান।

“আমরা ওদের সঙ্গে অনেক খেলছি। অনেক জিতেছি। এরকম প্রতিপক্ষ হলে মানসিক প্রস্তুতি বলেন বা সবকিছু, সবদিক থেকে একটা অভ্যস্ত ভাব থাকে।”

“এই যেমন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেললাম ৬ বছর পর। ৪-৫ জন ছাড়া বেশিরভাগ ক্রিকেটারই খেলে নাই ওদের বিপক্ষে। আমি মনে করতে পারি, প্রথমবার ওদের বিপক্ষে খেলার সময় অনুভূতি কেমন কিন্ত নতুনদের জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অন্তত সেটি হবে না।”

নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে সাকিবের নিজেরও আছে দারুণ সব স্মৃতি। ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচের পর। হয়েছিলেন সিরিজের সেরাও। কিউইদের সঙ্গে আছে তার আরও কিছু দারুণ পারফরম্যান্স।

গত কিছুদিন ধরেই রঙিন পোশাকে বিবর্ণ সাকিব চাইবেন প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে জ্বলে উঠতে। তিনি নিজে অবশ্য বলছেন, ম্যাচ জয়ের জন্য একার পারফরম্যান্স যথেষ্ট নয়।

“বাংলাদেশের জন্য খেলাটাই অনুপ্রেরণা। চেষ্টা থাকবে ভালো করার। তবে দল হিসেবে ভালো করতে হবে। দু-একটি ম্যাচ ছাড়া আমরা কখনোই ওরকম দল ছিলাম না যে একজন-দুজনের পারফরম্যান্সে ম্যাচ জিতে গেছি। অন্তত ৫-৬ জন যদি অবদান রাখতে পারি, আমার মনে হয় তখন জেতা সম্ভব।”

৫-৬ জনের ভালো করাটা যেমন জরুরি, তেমনি এটাও সত্যি, সাকিব ভালো করলেও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক বেশি!