প্রত্যাশিত ৩-০ ব্যবধানেই তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের দল।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ৪ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুরুতেই আফগানিস্তানকে সাফল্য এনে দেন শাপুর জাদরান। ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন চ্যাডউইক ওয়ালটনকে।
এভিন লুইসের সঙ্গে ৬১ রানের জুটিতে ধাক্কা সামাল দেন স্যামুয়েলস। ঝড়ো শুরু করা লেন্ডল সিমন্স পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে।
শেষ ৭ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ৬৪ রান, সে সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন স্যামুয়েলস। ৪০ ও ৪৮ রানে দুইবার জীবন পাওয়া টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ম্যাচ শেষ করে আসেন।
সিরিজ ও ম্যাচ সেরা স্যামুয়েলস ৬৪ বলে ৮৯ করতে ৯টি চারের সঙ্গে হাঁকান তিনটি ছক্কা। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটিতে জেসন মোহাম্মদের অবদান ১৬ বলে ২৩ রান।
আগের দুই ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ আফগানিস্তানকে এবার উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নুর আলি জাদরান। ১৯ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করে তিনি ফিরে যাওয়ার সময় দলের রান রেট ৯।
নুর আলির বিদায়ের পর কমেছে রানের গতি। আসগর স্তানিকজাই, করিম জানাতরা পারেননি ভালো শুরুর সুবিধা কাজে লাগাতে।
মোহাম্মদ নবি ফিরেন ৩০ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৩৮ রান করে। শেষের দিকে শফিকুল্লাহর ২৫ রানের ইনিংসে দেড়শ রানের কাছাকাছি যায় আফগানিস্তানের সংগ্রহ।
৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন কেসরিক উইলিয়ামস। স্যামুয়েল বদ্রি, রোভম্যান পাওয়েল ও জেরোম টেইলর নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬/৬ (নুর আলি ৩৫, জাভেদ ০, আসগর ১৩, নবি ৩৮, করিম ৮, শফিকুল্লাহ ২৫, নাজিবুল্লাহ ১০*, গুলবাদিন ৭*; টেইলর ১/৩৩, বদ্রি ১/২৬, উইলিয়ামস ৩/৩৪, ব্র্যাথওয়েট ০/৩, পাওয়েল ১/২০, নারাইন ০/২৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯.২ ওভারে ১৪৭/৩ (ওয়ালটন ০, লুইস ১৯, স্যামুয়েলস ৮৯*, সিমন্স ১৫, মোহাম্মদ ২৩*; শাপুর ১/২৭, নবি ১/৩৩, আমির ০/২৪, করিম ০/৪১, রশিদ ১/২২)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মারলন স্যামুয়েলস
ম্যান অব দ্য সিরিজ: মারলন স্যামুয়েলস