আমি টিকে থাকলে অন্যরকম হতো: সাকিব

গড়ে উঠছিল জুটি, বাড়ছিল রানের গতি। শুরুর ধাক্কা যখন অনেকটাই সামাল, ভালোর দিকে যখন দলের হাল, তখনই বিপত্তি। শেষ হলো সাকিব আল হাসানের সম্ভাবনাময় ইনিংস। ভাঙল জুটি। ভেঙে পড়ল দলের ব্যাটিংও।

ক্রীড়া প্রতিবেদক লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2017, 06:23 AM
Updated : 6 June 2017, 07:01 AM

তামিম-সাকিবের ৬৯ রানের জুটি ভাঙার পর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে তো চোখের পলকে লেজ মুড়িয়ে দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। বাংলাদেশকে ১৮২ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তামিম আর সাকিব টানছিলেন দলকে। উইকেটে গিয়ে দ্বিতীয় বলেই গুলির বেগে কাট শটে চার মেরেছিলেন সাকিব। এরপর অনেকটাই সংযত রাখেন নিজেকে। মন দেন জুটি গড়ে ইনিংস টেনে নেওয়ায়।

সাকিবের ব্যাটে আস্থার ছায়া দেখে ভরসা পেয়ে যান তামিমও। একটু হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। চড়াও হন দুই পার্ট টাইমার ময়েজেস হেনরিকেস ও ট্রাভিস হেডের ওপর। প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়া কেবল চাপে পড়তে শুরু করেছে। তখনই হেডের বলে এলবিডব্লিউ সাকিব।

এমনিতে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করলেও এদিন ২৯ করেছেন ৪৮ বলে। সাবধানী খেলেও শেষরক্ষা হলো না। সাকিব আউট হওয়ার পর বাকি ৬ উইকেট নিয়ে দল করতে পেরেছে আর মাত্র ৬০ রান।

থিতু হয়েও আউট হওয়ার দায় অকপটেই নিয়ে নিচ্ছেন সাকিব। তার ব্যর্থতায় দলের ভোগান্তিটাও মেনে নিচ্ছেন।

“ব্যাটিং প্রতিদিন তো সবার ভালো হবে না। যেদিন যার ভালো হবে সে যদি বড় করতে পারে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। আমি টিকে থাকলে হয়ত খেলাটা অন্যরকম হতো। তামিম তখন আরও স্বাধীনভাবে খেলত। আরো বেশি রান হতো।”

“আমি থাকলে হয়তো রান ২৬০ হতে পারত। সেটি হলে, আজকের উইকেটে আমাদের সম্ভাবনা ছিল। কারণ উইকেট ভিন্ন ছিল। আগের দিনের মত ৩২০-৩৩০ রানের উইকেট নয়। বল উঠা নামা করছিল। মেঘলা আকাশ হওয়ায় মুভমেন্টও ছিল।”

সাকিবের আউটটি অবশ্য ছিল বিতর্কিত। এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তের পক্ষে লোক পাবেন না আম্পায়ার নাইজেল লং। যখন আঙুল তুললেন, বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অনেকেই। সাকিবও সঙ্গে সঙ্গেই নেন রিভিউ। তবে আম্পায়ার্স কলে থেকে যায় মাঠের সিদ্ধান্ত। মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর এখানে রিভিউয়ে করার থাকে সামান্যই।