ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ১১তম ওভার শেষে বৃষ্টি নামলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৫ ওভারে। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে করে ১১২ রান।
বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যান। ব্যাটিংয়ে নামা সবার ছোট ছোট অবদানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি।
এভিন লুইসের সঙ্গে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ১৭ বলে ৪টি চার আর একটি ছক্কায় ফিরেন ২৯ রান করে।
একটি করে ছক্কা-চারে ২৮ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন লুইস। আফগান বোলাররা বেধে রাখেন মারলন স্যামুয়েলসকেও। দুটি ছক্কায় ২৬ বলে তিনি করেন ২২ রান। প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি লেন্ডস সিমন্স, ১৪ বলে অপরাজিত থাকেন ১৭ রনে।
ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে আফগানিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় কখনও জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি দলটি।
চার ওভারের মধ্যে ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অতিথিরা। পরের ব্যাটসম্যানরাও পারেননি প্রতিরোধ গড়তে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫৮ রানে ৮ উইকেট হারানো দলটি এবার ৮ উইকেট হারায় ৫৫ রানে।
সেখান থেকে দলকে একশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান করিম জানাত (২০)। দুই অঙ্ক ছোঁয়া তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে একমাত্র তিনিই যান বিশের ঘরে।
১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার কেসরিক উইলিয়ামস। ম্যাচ সেরাও এই পেসারই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫ ওভারে ১১২/৩ (ওয়ালটন ২৯, লুইস ২৫, স্যামুয়েলস ২২, সিমন্স ১৭*, ব্র্যাথওয়েট ৮*; দৌলত ০/৩৩, করিম ১/১৯, আমির ০/১১, নবি ১/২১, রশিদ ০/১৪, গুলবাদিন ১/১০)
আফগানিস্তান: ১৩.৩ ওভারে ৯৩ (গুলবাদিন ১২, নুর আলি ৬, আসগর ৯, সামিউল্লাহ ০, নবি ৮, করিম ২০, শফিকুল্লাহ ১,নাজিবুল্লাহ ১১, রশিদ ২, দৌলত ৯, আমির ৬; বদ্রি ১/১১, টেইলর ১/১৩, উইলিয়ামস ৩/১১, নারাইন ১/২৪, ব্র্যাথওয়েট ২/২৬)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কেসরিক উইলিয়ামস