হেইজেলউডের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, উইলিয়ামসনের শতক

এজবাস্টনে তাসমান পারের দুই দেশের লড়াইয়ের রোমাঞ্চে জল ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি। অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হয় পরিত্যক্ত।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2017, 06:16 PM
Updated : 3 June 2017, 12:00 PM

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে তিনশ রানের নিচে থামিয়েছিলেন জশ হেইজেলউড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিতে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। বৃষ্টির বাধায় ম্যাচে ফল হয়নি, ১ পয়েন্ট করে ভাগ করে নিতে হয়েছে দল দুটিকে।

বার্মিহ্যামে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের দশম ওভারে বৃষ্টি নামলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৬ ওভারে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা দলটি ৪৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ২৯১ রানে।

ষষ্ঠ ওভারে ৫টি চারে ২৬ রান করে ফিরে যান মার্টিন গাপটিল। মারকুটে ব্যাটসম্যানের দ্রুত বিদায়ের কোনো প্রভাব দলের ওপর পড়তে দেন লুক রনকি। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউ জিল্যান্ড।

৪৩ বলে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কায় রনকি ৬৫ রান করে ফেরার পর নিজেদের সেরা জুটি পায় নিউ জিল্যান্ড। রস টেইলরের সঙ্গে ৯৯ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক।

খুব বেশি ঝুঁকি নেননি উইলিয়ামসন, নিজের জোনে বল পেলে চড়াও হয়েছেন। সব সময়ই সচল রেখেছেন রানের চাকা। পেশাদারি ব্যাটিংয়ে খেলেছেন অধিনায়কোচিত এক ইনিংস। রান আউট হওয়ার আগে ৯৭ বলে খেলা ১০০ রানের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। তার আগেই ৬টি চারে ৪৬ রান করে ফিরেন টেইলর।

উইলিয়ামসনের বিদায়ের পর দিক হারায় নিউ জিল্যান্ড। শেষের ঝড় তোলার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন অধিনায়ক। পিছনে বিস্ফোরক সব ব্যাটসম্যান ছিলেনও। কিন্তু কেউই সুবিধা করতে পারেননি। ৩৭ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে কিউইরা থামে তিনশ রানের আগেই।

প্রথম ২ ওভারে ২০ রান দেওয়া হেইজেলউড অস্ট্রেলিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোয় নেতৃত্ব দেন। রানের জন্য মরিয়া নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের কাবু করেন বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে।

ডানহাতি হেইজেলউড শেষ পর্যন্ত ৫২ রানে নেন ৬ উইকেট। ক্যারিয়ারে এটা তার আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কোনো বোলারের প্রথম ছয় উইকেট।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শুরুর আগেই আবার বৃষ্টি নামলে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে ২৩৫ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় সুবিধা করতে পারেনি দলটি। ৯ ওভারের ভেতর ৫৩ রানে যায় ৩ উইকেট। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ফিরেন ময়জেস হেনরিকেস।

এরপর বৃষ্টি নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ৪৫ ওভারে ২৯১ (গাপটিল ২৬, রনকি ৬৫, উইলিয়ামসন ১০০, টেইলর ৪৬, ব্রুম ১৪, নিশাম ৬, অ্যান্ডারসন ৮, স্যান্টনার ৮, মিল্ন ১১, সাউদি ০, বোল্ট ০; স্টার্ক ০/৫২, হেইজেলউড ৬/৫২, কামিন্স ১/৬৭, হেস্টিংস ২/৬৯, হেড ০/২২, হেনরিকেস ০/২৫)

অস্ট্রেলিয়া: ৯ ওভারে ৫৩/৩ (ওয়ার্নার ১৮, ফিঞ্চ ৮, স্মিথ ৮*, হেনরিকেস ১৮; সাউদি ০/১৫, বোল্ট ১/২৮, মিল্ন ২/৯)