৩৩০ রানের ভাবনায় ৮ ব্যাটসম্যানের একাদশ

সকালে একাদশ দেখে যেটি ছিল অনেকের বিস্ময়, দিন শেষে সেটিই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কেন বাংলাদেশের একাদশে ৮ ব্যাটসম্যান, কেন একজন বোলার কম?

ক্রীড়া প্রতিবেদক লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2017, 07:32 PM
Updated : 2 June 2017, 01:27 PM

­­­ব্যাটসম্যান বাড়তি নিলেও শেষের দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলার কম নিয়ে লড়াই করতে পারেনি ৩০৫ রান নিয়েও। ইংল্যান্ড জিতছে ৮ উইকেটে। মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, জেনে-বুঝেই ঝুঁকিটা নিয়েছিল দল।

“আমরা জানতাম, এরকম হতে পারে (বোলারের ঘাটতি)। তবে আমাদের ভাবনা ছিল, ব্যাটসম্যানদের আরেকটু স্বাধীনতা দেওয়া, যেন ব্যাটসম্যানরা নির্ভার থেকে ভালো খেলতে পারে। বোলার অবশ্যই আরেকজন বেশি নিতে পারতাম। তবে ভাবনা এটাই ছিল।”

“আমাদের ভাবনা ছিল, কোনোভাবে যদি আমাদের ধস নামে, তাহলে পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২৭০-২৮০ রান করলেও এখানে লাভ হবে না। জেনুইন পাঁচটা বেলার থাকলেও। কিন্তু ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে যদি ৩২০-৩৩০ করতে পারি, তাহলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যাবে। সেক্ষেত্রে হয়ত একটা বোলার কম নিয়েও পারতাম।”

মজার ব্যাপার এটিই। ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে আক্ষেপ করতে হচ্ছে আরও ২৫-৩০ রান বেশি না হওয়ায়।

“তিনশ রান তাড়া যে কোনো উইকেটেই একটু কঠিন। কিন্তু ইংল্যান্ডে যদি দেখেন, এখন ৩৩০-৩৪০ রান নিয়মিতই হচ্ছে। সেই রান তাড়া করে জিতেও যাচ্ছে। এজন্যই আমাদের এক দিকে যেতে হতো। আমরা ভেবেছি ব্যাটসম্যান বাড়িয়ে যদি ৩২০-৩৩০ করা যায়, তাহলে একটা পার্ট টাইম বোলার ৭০-৮০ রান দিলেও একটা-দুইটা উইকেট তুলে নিলেই জিততে পারব।”

“আমরা কিন্তু পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছিলাম। অন্তত ৩২০ হওয়ার কথাই ছিল। তবে তামিম ও মুশফিক এক ওভারে আউট হওয়ার পর অন্যরা পারেনি শেষ দিক আরও বেশি রান করতে।”

বোলিংটা যে ভালো হয়নি, সেটাও মেনে নিচ্ছেন মাশরাফি। তবে এই উইকেটে বোলারদের বাস্তবতাও তুলে ধরলেন অধিনায়ক।

“দ্রুত উইকেট পাওয়ার পর মাঝে উইকেট নিতে পারিনি। এটাও একটা কারণ। ওরাও খুব ভালো খেলেছে। মুস্তাফিজকে খুব ভালো সামলেছে। মাঝে উইকেট না পাওয়াতে জুটি বড় হয়ে গেছে। এরপর মর্গ্যানের আউটটা হলো না। ওখানে হলেও হয়ত কিছু সম্ভাবনা থাকত। কারণ রান রেট তখনও সাত করে লাগত।”

 

“তবে এই উইকেটে অসাধারণ বোলিং করতে হবে, কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও লাগবে। এসব উইকেটে ৩২০-৩৩০ করেও নিরাপদ থাকা মুশকিল। ৫-৬ জন জেনুইন বোলার নিয়েও হারছে দলগুলো।”

পারফরম্যান্সের কাঁটাছেড়ায় শেষ পর্যন্ত সেই চিরন্তন আক্ষেপটাই দলের সঙ্গী। শেষ দিকে দ্রুত কিছু রান করতে না পারা, আর ২০-২৫ রান বেশি না হওয়া।