মর্গ্যান তখন খেলছিলেন ২২ রানে। ইংল্যান্ড তখনও শক্ত অবস্থানে, তবে একেবারে শেষ হয়নি বাংলাদেশের আশা। মাশরাফির বলে লং অনে সামনে ঝাপিয়ে ক্যাচ নিলেন তামিম। ইঙ্গিত করে বারবার দেখাচ্ছিলেন, ক্যাচটি পরিষ্কার নিয়েছেন। মর্গ্যান ঠায় দাঁড়িয়ে।
সিদ্ধান্ত গেল তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠের দুই আম্পায়ার আলোচনার পর সুন্দরম রবি সফট সিগন্যাল দিলেন নট আউট। টিভি রিপ্লেতে পেছন থেকে দেখে মনে হচ্ছিলো আউট। সামনে থেকে দেখানোর পর অবশ্য একটু সংশয় জেগেছে।
সেটি দেখেই ক্যাচটি বাতিল করে দেন তৃতীয় আম্পায়ার। মাশরাফি আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছেন। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, আরেকটু সময় নিয়ে আরও ভালো করে দেখতে পারতেন তৃতীয় আম্পায়ার।
“তামিম পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল যে ওটা ক্যাচ হয়েছে। কিন্তু আম্পায়াররা হয়ত আরও ভালো দেখেছে। তবে মাঠে যে ফিল্ডার থাকে, তার মত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে এখনও পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে ওটা ক্যাচ ছিল।”
“হয়ত আরেকটু ক্লোজ করে দেখলে ভালো হতো। সিদ্ধান্তটা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে কিনা জানি না। যেহেতু ফিল্ডার বলছিল, সেক্ষেত্রে আরও ক্লোজ করে দেখলে হয়ত আরও ভালো বোঝা যেত।”
তখনও ওভারপ্রতি প্রায় ৭ রান করে প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। অধিনায়কের মতে, মর্গ্যান তখন আউট হলে সম্ভাবনা টিকে থাকত বাংলাদেশের।
“ওভার প্রতি সাত করে লাগত। একটি উইকেট পড়লে, তখন কিছু ডট বল হতো। হয়ত রান তখন ওভারপ্রতি ৮-৯ লাগত, চাপে উইকেট পড়তে পারত। অবশ্যই আমরা ভালো বল করিনি। তবে ওই সময় মর্গ্যান আউট হলে হতে পারত অনেক কিছুই।”
হতে পারত অনেক কিছু, হয়নি কিছুই। জো রুটের সঙ্গে মর্গ্যানের জুটিই জিতিয়ে ফিরেছে ইংল্যান্ডকে।