কিন্তু হলো উল্টো। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন না বাংলাদেশ কোচ। বরং সাজিয়ে দিলেন সামনে এগিয়ে চলার ‘রোডম্যাপ’। প্রস্তুতি ম্যাচ নয়, কোচের আলোচনা জুড়ে ছিল মূল টুর্নামেন্টই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে কি করতে হবে, কোন পথে এগোতে হবে, কিভাবে ঘায়েল করতে হবে শত্রুদের, কোচিং স্টাফের সবাই কথা বলেছেন সেসব নিয়েই।
পাকিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গও এসেছে। তবে হার নিয়ে নয়, ক্ষোভ ঝাড়েননি হারের ধরন নিয়েও। ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সেসব শোধরানোর উপায় নিয়ে আলেচনা হয়েছে।
মিটিংয়ের লম্বা সময় ধরে ফিল্ডিংয়ের উপস্থিতি অবধারিতই ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাচ নিতে পারেনি সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজের মতো দলের সেরা ফিল্ডাররা। ক্যাচ ছেড়েছেন তাসকিন আহমেদও।
প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও মুঠো থেকে জয় হারিয়ে ফেলায় খানিকটা ক্ষত যা হয়েছিল, তা অনেকটাই সারিয়ে দিয়েছে এই টিম মিটিং। ক্রিকেটারদের মাঝে ছিল সেই স্বস্তির হাওয়া।
প্রস্তুতি ম্যচের জয়-পরাজয়কে এমনিতে কখনোই বড় করে দেখে না বাংলাদেশ দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে সিডনির ক্যাম্পে ক্লাব দলগুলির কাছে চারটি ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। পরে মূল টুর্নামেন্টে ঠিকই ভালো করেছিল।
এবারও টিম মিটিংয়ে হাথুরুসিংহে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবারও তিনি প্রস্তুতির ফলকে পাত্তা দিচ্ছেন না। তবে প্রস্তুতিতে ছাড়ও দিতে চাইছেন না। মঙ্গলবার গা গরমের ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত। ফল পক্ষে আসুক বা না আসুক, ঘাটতির জায়গাগুলোয় উন্নতিই করাই ক্রিকেটারদের কাছে কোচের বার্তা।