ওভালে সোমবার দুদলের অনুশীলন হয়েছে আলাদা সময়ে। সকালে ভারত, দুপুরে বাংলাদেশ। একই সময়ে অনুশীলন হলেও অবশ্য ওই ছবি কল্পনা করা কঠিন। বাংলাদেশের নেটে ভারতে বোলারদের বোলিং যেমন অকল্পনীয়, তেমনি কঠিন বাংলাদেশ-ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ শুধু প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েই থাকা!
গত কবছর ধরেই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানে বাতাসে বারুদের গন্ধ। ২০১২ এশিয়া কাপে শচীন টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরির উপলক্ষটাকে ম্লান করে দারুণ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের বিতর্কের রেশ এখনও নাড়া দেয় মাঝেমধ্যে।
বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া সিরিজেও ছিল বিতর্কের ঝাঁজ। আর গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে সেই হৃদয় ভাঙা হার। সব মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই উত্তেজনার চূড়ান্ত।
ম্যাচটি খেলতে মুখিয়ে আছেন তামিম ইকবালও। বড় মঞ্চে ভারতকে প্রথমবার হারানোর অন্যতম নায়ক তিনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে তামিমের বীরোচিত ইনিংস আর বাংলাদেশের জয়ের গল্প কখনোই পুরানো হবার নয়। তার পর তো জমে গেছে আরও কত কত গল্পের রসদ। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ওজন তাই ভালো করেই জানেন এই ওপেনার।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, সেটি আলাদা করেই বললেন তামিম। তবে বেরিয়ে এসে বাউন্ডারি মারার পরই হয়ত মনে হলো, আর ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। পরের বলেই তাই সলিড ডিফেন্স খেলে শান্ত করতে চাইলেন পরিস্থিতি।
“বাড়তি কিছুই না। ওরাও প্রস্তুতি হিসেবে নেবে, আমরাও সেভাবেই নিচ্ছি। ম্যাচে যখন নামব, অবশ্যই চেষ্টা করব জিততে। ওরাও সেই চেষ্টা করবে। তবে আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই ম্যাচ থেকে কে কি নিয়ে যেতে পারে সামনে।”
নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে অনেক কিছুই। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর আরেকটি ভালো ইনিংসে মূল টুর্নামেন্টের জন্য একদম প্রস্তুত হয়ে যেতে পারেন। কিংবা সৌম্য সরকারের একটি বড় ইনিংস, কারও দারুণ বোলিং। নেওয়ার আছে অনেক কিছুই। তবে জয়ের চেয়ে বড় নেওয়া আর কী হতে পরে!
শেষ প্রস্ততি ম্যাচে জয় মানে আত্মবিশ্বাসের সুবাসে মাখামাখি হয়ে মূল টুর্নামেন্টে খেলতে নামা। আর ভারতের বিপক্ষে জয়, হোক সেটি প্রস্তুতি ম্যাচে, সে সুবাসও হবে দারুণ মোহনীয় কিছু!