এমন কিছু আগে দেখেননি হাথুরুসিংহে

হাতে ব্যাগ, মুখে হাসি। হোটেলের লিফট থেকে বেরিয়ে এলেন থিলান সামারাবিরা। টিম বাসে উঠবেন। বার্মিংহাম থেকে লন্ডন যাবে বাংলাদেশ দল। আগের দিনের ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠতেই শুধু হাসলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। হাসিতেই যেন বলতে চাইলেন অনেক কিছু। মুখে শুধু বললেন, “কী এক ম্যাচ হলো…!”

ক্রীড়া প্রতিবেদক বার্মিংহাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2017, 12:19 PM
Updated : 28 May 2017, 12:19 PM

চন্দিকা হাথুরুসিংহে অবশ্য মন আর মুখ আরেকটু খুললেন। নবম উইকেটে ৭ ওভারে ৯৩ রান তুলে প্রতিপক্ষের ম্যাচ জয়, বাংলাদেশ কোচ যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বাসে ওঠার আগে বললেন, তিনিও এমন কিছু ভাবতে পারেননি।

“এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। আমার জন্যও এটি নতুন অভিজ্ঞতা।”

ম্যাচ হারার পর ড্রেসিং রুমে এসব নিয়ে কিছু বলেননি কোচ। হোটেলে ফিরেও না। হয়ত নিজেও এত বেশি চমকে গেছেন যে খুব বেশি বলার নেই। রোববার লন্ডনে ফেরার পর অবশ্য হোটেলে লম্বা টিম মিটিং আছে। হয়ত পারফরম্যান্সর কাঁটাছেড়া, ভুল শোধরানো আর সামনের পথচলা নিয়ে কথা হবে সেখানেই।

মিটিংয়ের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে ফিল্ডিং, এটা বুঝতে অবশ্য খুব বড় বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। ইদানিং বাংলাদেশ ফিল্ডিং বেশ অধারাবাহিক। এক ম্যাচ ভালো হয় তো দুই ম্যাচ খারাপ। প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের মূল কারণও এক গাদা ক্যাচ মিস ও বাজে ফিল্ডিং। মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ঝালাই চলবে নিশ্চিত।

ব্যাটিং আর বোলিংয়ের শেষটা নিয়েও ভাবার আছে অনেক কিছু। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ বিশ্রামে রেখেছিল মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেনকে। এই দুজন ফিরলে বোলিংয়ের চেহারা ভালো হবে অবশ্যই। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, সাব্বির রহমানের না খেলাটাও আসলে বিশ্রামই।

সাব্বির ফিরলে ব্যাটিং অর্ডারেও নাড়াচাড়া করতে হবে। সবশেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে ৬৫ করেছিলেন সাব্বির। আপাতত তাই হয়ত তিনেই দেখা যাবে তাকে। তবে ইমরুল কায়েসও নিজের দাবি জানিয়ে রাখছেন সুযোগ পেলেই।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনে সুযোগ পেয়ে ৬১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। আয়ারল্যান্ডেও ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ৭৮ বলে ৯২ করে নিয়েছিলেন স্বেচ্ছা অবসর। মিটিংয়ের আলোচ্যসূচিতে এসবও থাকার কথা।

দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই প্রথমটিতে তিন জনকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে দল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যচে প্রতিপক্ষ ভারত, খেলা ওভালে। ম্যাচের একদিন পর ওই মাঠেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। ভারত ম্যাচটিতে হয়ত সম্ভাব্য সেরা একাদশকেই প্রাধান্য দেবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

পাকিস্তানের বিপক্ষে হারটা ম্যাচের পরদিনও বিশ্বাস করে উঠত পারছিলেন না দলের অনেকে। সৌম্য সরকার যেমন বললেন, “কপালে না থাকলে কী আর হয়!”

তবে এই হারকে বড় ধাক্কা নয়, বড় শিক্ষা হিসেবেই দেখছেন সৌম্য। ভুল শোধরাতে আর নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও।

এরপরই মূল লড়াই। যেখানে ভুলের অবকাশ নেই। কপালকে দায় দিয়েও লাভ নেই!