জয়টা ধরেই নিয়েছিল বাংলাদেশ

হাসান আলির ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারিতে। পাকিস্তানের জয়। মাশরাফির হাত কোমরে। বাকি সবাইও কিছুক্ষণ জায়গাতেই দাঁড়িয়ে। হেরে গেছে দল। জেনে গেলেও মেনে নিতে যেন কষ্ট হচ্ছিলো।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবার্মিংহাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2017, 07:44 PM
Updated : 27 May 2017, 07:44 PM

প্রস্তুতি ম্যাচে হার বড় কিছু নয় মোটেও। বিস্ময়, হতাশা, আক্ষেপ সব হারের ধরনে। প্রায় নিশ্চিত জয়ের পথে থাকা ম্যাচ হেরে ফেরার পর ড্রেসিং রুম ওই সময়ের চেহারা কেমন ছিল? আলোচনার বিষয়বস্তই বা কি কি?

প্রশ্ন শুনে হাসলেন ইমরুল কায়েস। অবশ্যই সেই হাসিতে সুখের আভা নেই, মিশে আছে আক্ষেপ। সংবাদ সম্মেলনে এই ওপেনার মেলে ধরলেন ড্রেসিং রুমের ভেতরটা।

“ম্যাচ হারলে খারাপ লাগেই। সবাই হতাশ। জিতলে হাসি থাকত সবার মুখে। সেটি নেই…এই তো।”

হতাশার কারণও অনুমিত। হারের ধরণ। মাঠের দর্শক যা দেখেছে, স্কোরকার্ড যা বলছে, বাংলাদেশ দলও ধরেই নিয়েছিল সেটি। সবাই নিশ্চিত ছিল, জয়টা কেবল সময়ের ব্যাপার। সেখান থেকে হেরে যাওয়াই পোড়াচ্ছে দলকে।

“এখান থেকে ম্যাচ হারা দু:খজনক। ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল। সবকিছুই ভালো হচ্ছিলো। একটা সময় আমাদের মনে হয়েছে, ম্যাচ এমনিতেই জিতে যাব। সহজ ক্রিকেটীয় হিসেবে সেটিই হওয়ার কথা ছিল। হলো না। আজকের দিনটা আমাদের ছিল। আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। ওরা আমাদের কাছ থেকে নিজেদের জয় অর্জন করে নিয়েছে।”

ব্যাটিংয়ে শেষ ১৫ ওভারে আরও বেশি রান না করার আক্ষেপ আছে। বোলিংয়ের শেষটা বাজে হয়েছে। তবে বাংলাদেশ হেরেছে মূলত ফিল্ডিংয়ে। সাব্বির ক্যাচ ছেড়েছেন, তাসকিন ছেড়েছেন। সাকিব একটি ক্যাচ নিতে পারেননি। শেষ ওভারে মিরাজ ফাহিম আশরাফের ক্যাচ নিতে পারলেও হয়ত জিতত বাংলাদেশ। পারেননি মিরাজ।

ক্যাচ মিস ছাড়াও ম্যাচ জুড়ে বেশির ভাগ সময় ফিল্ডিংয়ে ছিল না ধার। পাকিস্তানের ৮ উইকেট পড়ার পর একটু গা ছাড়া ছিল দল। শরীরী ভাষাও ভালো ছিল না।

অভিযোগের বেশিরভাগ মানলেন ইমরুল, কিছু মানলেন না। তবে করণীয়টা বুঝতে পারছে দল, সেটি নিশ্চিত করলেন।

“ফিল্ডিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজকে যেটা আমাদের ভালো হয়নি। কেউ তো মাঠে গা ছাড়া থাকে না। সবাই চেষ্টা করে। তার পরও ভুল হয়ে যায়। আজও সেরকম দু-একটি ভুল হয়েছে। ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। আরও ফিল্ডিং সেশন দরকার আমাদের।”

ফিল্ডিংটা ইদানিং বাজে হচ্ছে প্রায়ই। ফিল্ডিং সেশনই যদি ভুল সারাবার দাওয়াই হয়, তাহলে সেটির সুযোগ তো আছেই সামনে অনেক। প্রশ্ন হলো, এই দাওয়াই রোগ সারাবে তো?