টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে টম ল্যাথাম, নিল ব্রুম আর রস টেইলরের অর্ধশতকে ৮ উইকেটে ২৭০ রান করে নিউ জিল্যান্ড। ৫ উইকেট হারিয়ে ১০ বল বাকি রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
ভীষণ চাপের মধ্যে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৭২ রানের চমৎকার জুটি। তার ওপর ভর করে জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৬৫ রান করে এসেছে তামিম ও সাব্বিরের ব্যাট থেকে।
দলের বিপদের সময় নেমে ৪৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মুশফিক। ৩৬ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
ছয় নম্বরে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ছয় নম্বরে ওঠা নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। আইসিসির পরবর্তী র্যাঙ্কিং হালনাগাদে এটি পাবে আনুষ্ঠানিক রূপ।
নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর পর বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট শ্রীলঙ্কার সমান ৯৩। তবে ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ছয়ে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা নামছে সাতে।
র্যাঙ্কিংয়ে এগোনোয় ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়ার পথেও অনেকটাই এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
২০১৯ বিশ্বকাপে কোন দলগুলো সরাসরি খেলবে তা নির্ধারিত হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও র্যাঙ্কিংয়ের অন্য শীর্ষ সাত দল পাবে সরাসরি খেলার টিকেট। বাকি দুই দলকে আসতে হবে বাছাইপর্ব খেলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৭০/৮ (ল্যাথাম ৮৪, রনকি ২, ব্রুম ৬৩, টেইলর ৬০*, অ্যান্ডারসন ২৪, নিশাম ৬, স্যান্টনার ০, মানরো ১, হেনরি ৫, প্যাটেল ৭*; মাশরাফি ২/৫২, মুস্তাফিজ ১/৪৬, রুবেল ১/৫৬, নাসির ২/৪৭, সাকিব ২/৪১, মোসাদ্দেক ০/১৪)
বাংলাদেশ: ৪৮.২ ওভারে ২৭১/৫ (তামিম ৬৫, সৌম্য ০, সাব্বির ৬৫, মোসাদ্দেক ১০, মুশফিক ৪৫*, সাকিব ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*; প্যাটেল ২/৫৫, হেনরি ০/৪৯, বেনেট ১/৪৭, অ্যান্ডারসন ০/৩৭, স্যান্টনার ১/৫৩, নিশাম ০/২৮)
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে অর্ধশতক
দলের প্রয়োজনের সময় আবার জ্বলে উঠেছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে ৭.৪ ওভারে গড়েছেন ৫০ রানের জুটি।
৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৯/৫। মুশফিক ৪০ ও মাহমুদউল্লাহ ২৯ রানে অপরাজিত।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
হঠাৎ চাপে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। উইকেট ধরে রাখার সঙ্গে রানের-বলের সমীকরণ নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসছেন এই দুই জনে।
৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৩/৫। শেষ ৫ ওভারে আর ২৮ রান চাই তাদের। মুশফিক ৩৯ ও মাহমুদউল্লাহ ২৪ রানে অপরাজিত।
ফিরে গেলেন সাকিব
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা পুরোপুরি সামাল দেওয়ার আগেই ফিরলেন সাকিব আল হাসান। হ্যামিশ বেনেটের বলে সীমানার ঠিক সামনে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ধরা পড়েন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
দুটি চারে ৩২ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন সাকিব।
৩৯তম ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০০/৫। ২১ রানে অপাজিত মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
দলকে চাপে ফেলে মোসাদ্দেকের বিদায়
প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। দুই অঙ্কে গিয়েই এলবিডব্লিউ হয়ে যান এই তরুণ।
অফ স্পিনার জিতান প্যাটেলের বল একটু পিছিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি মোসাদ্দেক। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিতেও বেশি দেরি করেননি।
৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬১/৪। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শেষ ২০ ওভারে জয়ের জন্য ১১০ রান চাই তাদের।
রান আউট হয়ে সাব্বিরের ফেরা
তামিম ইকবালের পর দ্রুত ফিরেন সাব্বির রহমান। মিচেল স্যান্টনারের বল খেলেই দৌড় দিয়েছিলেন তিনি, সাড়া দিয়ে ছুটেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেনও। হঠাৎ থেমে যান সাব্বির, তখন আর ফেরার সুযোগ ছিল না তার সতীর্থের। দুজনেই এসে পড়েন ব্যাটিং প্রান্তে।
এই উপহার দুই হাতে গ্রহণ করে নিউ জিল্যান্ড। রান আউট হয়েছেন মেনে নিয়ে হাঁটা ধরেছিলেন মোসাদ্দেক, তাকে থামান আম্পায়ার। রিপ্লেতে দেখা যায়, সাব্বিরের আগেই ব্যাট ছুঁয়েছেন মোসাদ্দেক। তাই ফিরে যেতে হয় সাব্বিরকে।
৮৩ বলে ৯টি চারে ৬৫ রান করে সাব্বির ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৪৮/৩। মোসাদ্দেকের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
ভালো ভিত গড়ে ফিরলেন তামিম
দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বির রহমানের সঙ্গে ১৩৬ রানের জুটিতে দলকে ভালো ভিত দিয়ে ফিরেন তামিম ইকবাল। মিচেল স্যান্টনারকে উড়ানোর চেষ্টায় হ্যামিশ বেনেটের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
৮০ বলে খেলা তামিমের ৬৫ রানের ইনিংসটি গড়া ৬টি চার ও একটি ছক্কায়। দল ১ উইকেটে ১৪৩ রানের ভালো অবস্থানে- সে সময়ে অমন শট না খেললেও পারতেন তিনি।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৮/২। ৬৫ রানে অপরাজিত সাব্বিরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এমনিতে এই পজিশনে খেলেন মুশফিকুর রহিম।
সাব্বিরের অর্ধশতক
তামিম ইকবালের পর অর্ধশতকে পৌঁছান সাব্বির রহমান। জিতান প্যাটেলকে চার হাঁকিয়ে স্পর্শ করেন সিরিজের প্রথম অর্ধশতক।
২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২৬/১। তামিম ইকবাল ৫৮ ও সাব্বির ৫৫ রানে অপরাজিত।
তামিম-সাব্বিরের শত রানের জুটি
১১.৪ ওভারে এসেছিল জুটির অর্ধশতক, পরের পঞ্চাশ আসে আরও দ্রুত। সাবলীলভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে ১৯.৩ ওভারে জুটি তিন অঙ্কে নিয়ে যান তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৭/১। তামিম ৫৪ ও সাব্বির ৪২ রানে অপরাজিত।
তামিমের অর্ধশতকে শক্ত ভিত
ছক্কায় শুরুর পর মাঝে নিজেকে খানিকটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। একটু সময় নিয়ে রানের গতি বাড়ানোর কাজটা নিজের কাঁধে তুলে নেন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ৫৪ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় স্পর্শ করেন অর্ধশতক। সেই ওভারেই একশ রানে যায় বাংলাদেশের সংগ্রহ।
১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/১। তামিম ৫১ ও তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যাওয়া সাব্বির রহমান ৪০ রানে অপরাজিত।
প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান। ১১.৪ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন দুই জনে।
১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৪/১। ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করা তামিম ২৭ ও সাব্বির ৩২ রানে অপরাজিত।
শূন্য রানে সৌম্যর বিদায়
প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জিতান প্যাটেলকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা নিউ জিল্যান্ডের অফ স্পিনার হাসলেন তৃতীয় বলেই। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সৌম্য সরকার।
প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭/১। তামিমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন সাব্বির রহমান।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৭১ রান
টম ল্যাথাম-নিল ব্রুমের ব্যাটে ম্যাচ হাত থেকে ছুটে যেতে বসেছিল। বাংলাদেশের ফিল্ডিং ব্যর্থতায় ১ উইকেটে ১৫৬ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলটিকে তিনশ রানের অনেক আগেই থামিয়েছে বাংলাদেশ।
বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের জায়গায় নাসির হোসেনকে ফিরিয়ে ব্যাটিং শক্তি বাড়িয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলছে ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে। এই ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করা সম্ভব।
শূন্য ও ৫০ রানে জীবন পেয়েছেন ল্যাথাম। ৫৬ রানে জীবন পেয়েছেন ব্রুম। শেষ ওভারে রস টেইলরের ক্যাচ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। হাতছাড়া হয়েছে রান আউটেরও বেশ কয়েকটি সুযোগ। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে লক্ষ্যটা হয়তো আরও ছোট হত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৭০/৮ (ল্যাথাম ৮৪, রনকি ২, ব্রুম ৬৩, টেইলর ৬০*, অ্যান্ডারসন ২৪, নিশাম ৬, স্যান্টনার ০, মানরো ১, হেনরি ৫, প্যাটেল ৭*; মাশরাফি ২/৫২, মুস্তাফিজ ১/৪৬, রুবেল ১/৫৬, নাসির ২/৪৭, সাকিব ২/৪১, মোসাদ্দেক ০/১৪)।
হেনরিকে ফেরালেন রুবেল
উইকেট শিকারে যোগ দিয়েছেন রুবেল হোসেনও। তার ওপর চড়াও হতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ম্যাট হেনরি। ১৪ বলে ৫ রান করে তার বিদায়ের সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৫৮/৮।
টেইলরের অর্ধশতক
ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করা রস টেইলর পেয়েছেন অর্ধশতক। কয়েকবার অল্পের জন্য ফিল্ডারের হাতে যায়নি তার ক্যাচ। ৪৬ বলে ৬টি চারে পেরিয়েছেন পঞ্চাশ।
৪৬ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৪৮/৭। টেইলর ৫২ ও ম্যাট হেনরি ২ রানে অপরাজিত।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বাজে দিন কাটানো মাশরাফি বিন মুর্তজা এদিন ফিরেছেন স্বরূপে। পরপর দুই ওভারে নিয়েছেন উইকেট। দ্রুত ফিরিয়েছেন মারকুটে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কলিন মানরোকে।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো নিউ জিল্যান্ডের ওপর থেকে চাপ কমাতে মাশরাফির ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন মানরো। পারেননি, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উল্টো সহজ ক্যাচ যায় মুশফিকুর রহিমের কাছে।
৪৪তম ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২২৮/৭। ৩৩ রানে অপরাজিত রস টেইলরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন ম্যাট হেনরি।
সাকিবের দ্বিতীয় শিকার স্যান্টনার
সাকিব আল হাসানের একটু জোরের ওপর করা বল মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
৬ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি স্যান্টনার। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ২২৬/৬। ৩২ রানে অপরাজিত রস টেইলরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন কলিন মানরো।
নিশামকে ফেরালেন মাশরাফি
আগের ম্যাচে অর্ধশতক পাওয়া জিমি নিশামকে এবার ডানা মেলতে দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়কের বলে নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার মিড অফে মাহমুদউল্লাহকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন।
১০ বলে ৬ রান করে নিশামের বিদায়ের সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২২৪/৫। ৩১ রানে অপরাজিত রস টেইলরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।
সাকিবের শিকার অ্যান্ডারসন
সাকিব আল হাসানকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরেন কোরি অ্যান্ডারসন। নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডারের ক্যাচ স্কয়ার লেগ সীমানায় জমান মাহমুদউল্লাহ।
৩২ বলে তিনটি চারে ২৪ রান করে অ্যান্ডারসনের বিদায়ের সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২০৮/৪। ২২ রানে অপরাজিত রস টেইলরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন জিমি নিশাম।
নাসিরের দ্বিতীয় শিকার ল্যাথাম
টানা দ্বিতীয় ওভারে আঘাত হানলেন নাসির হোসেন। অফ স্পিনারের বল পিছিয়ে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন টম ল্যাথাম। ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে পায়ে লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। শূন্য রানে ল্যাথামকে জীবন দিয়েছিলেন নাসির, ৫০ রানে তার ক্যাচ ছেড়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন।
৯২ বলে ১১টি চারে ৮৪ রান করে ফিরেন ল্যাথাম। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের বিদায়ের সময় দলের স্কোর ১৬৭/৩। ৮ রানে অপরাজিত রস টেইলরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন কোরি অ্যান্ডারসন।
ব্রুমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন নাসির
নাসির হোসেনের আগের ওভারে বেঁচে যাওয়া নিল ব্রুম ফিরেন পরের ওভারেই। এই অফ স্পিনারের বলে নিউ জিল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সুইপ স্কয়ার লেগে হাতে জমান মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়কের প্রথম ওভারে ঠিক এই জায়গাতেই শূন্য রানে টম ল্যাথামকে জীবন দিয়েছিলেন নাসির।
৭৬ বলে ৭টি চারে ব্রুম ৬৩ রান করে ফিরে যাওয়ার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৫৬/১। ল্যাথামের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ২৪.৩ ওভারে গড়েছেন ১৩৩ রানের জুটি।
২৯ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৫৯/২। দুইবার জীবন পাওয়া ল্যাথাম অপরাজিত ৮২ রানে। তার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন রস টেইলর।
শূন্য ও ৫০ রানে দুবার জীবন পেয়েছেন টম ল্যাথাম। এবার নিল ব্রুমকেও জীবন দিল বাংলাদেশ। নাসির হোসেনের বলে সীমানা থেকে এগিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সৌম্য সরকার। সে সময়ে ৫৬ রানে ব্যাট করছিলেন নিউ জিল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ল্যাথামের পর ব্রুমের অর্ধশতক
টম ল্যাথামের পর অর্ধশতক পেয়েছেন নিল ব্রুমও। ৬৩ বলে ৬টি চারে এসেছে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সিরিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক। এরই মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েছেন শত রানের জুটি।
২৫ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৩৪/১। ল্যাথাম ৭০ ও ব্রুম ৫৩ রানে অপরাজিত।
ল্যাথাম-ব্রুমের একশ রানের জুটি
এক তালে এগিয়ে যাচ্ছেন টম ল্যাথাম ও নিল ব্রুম। তাদের অর্ধশত রান এসেছিল ৯.২ ওভারে, দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন ১৮.৫ ওভারে।
২৩তম ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১২৫/১। দুইবার জীবন পাওয়া ল্যাথাম ৬৫ ও ব্রুম ৪৯ রানে অপরাজিত।
নিউ জিল্যান্ডের একশ
৫১ বলে এসেছিল নিউ জিল্যান্ডের অর্ধশতক, পরের পঞ্চাশের জন্য খেলতে হয়েছে একটু বেশি ৫৮ বল। ১৯তম ওভারে তিন অঙ্কে গেছে তাদের সংগ্রহ।
১৯ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১০৪/১। টম ল্যাথাম ৬১ ও নিল ব্রুম ৩৪ রানে অপরাজিত। বাংলাদেশের বোলারদের সহজেই খেলছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
অর্ধশতকে পৌঁছে আবার ল্যাথামের জীবন
শূন্য রানে জীবন পাওয়া টম ল্যাথাম পৌঁছেছেন অর্ধশতকে। নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক ৫১ বলে যান পঞ্চাশে। ওই রানেই ফিরতে পারতেন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। মোসাদ্দেক হোসেনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। নন স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান নিল ব্রুমের জন্য মাঝে খানিকটা সময়ের জন্য বল চলে যায় বোলারের দৃষ্টির আড়ালে। চেষ্টা করেও হাতে জমাতে পারেননি মোসাদ্দেক।
১৫ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৮৫/। ল্যাথাম ৫১ ও ব্রুম ২৬ রানে অপরাজিত।
শুরুতে লুক রনকিকে হারানো নিউ জিল্যান্ড এগিয়ে যায় টম ল্যাথাম ও নিল ব্রুমের ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে ৯.২ ওভারে দুই জনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি।
১৩ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৭৩/১। ল্যাথাম ৪২ ও ব্রুম ২৩ রানে অপরাজিত।
রনকিকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত মুস্তাফিজের
গুড লেংথে মুস্তাফিজুর রহমানের বল একটু উঠিয়ে ড্রাইভ করেন লুক রনকি। স্লোয়ার বুঝতেই পারেননি তিনি। টাইমিংও কিছুই হল না, উঠে যায় সোজা আকাশে। একস্ট্রা কাভারে ক্যাচ মুঠোয় নেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড।
২ রান করে রনকি ফিরে যাওয়ার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৩/১। শূন্য রানে জীবন পাওয়া টম ল্যাথাম ব্যাট করছেন ২০ রানে। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নিল ব্রুম।
মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রথম ওভারেই টম ল্যাথামকে জীবন দিলেন নাসির হোসেন। অধিনায়কের বলে স্কয়ার লেগে আসা সহজ ক্যাচ দুই হাতে জমাতে পারেননি গত অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামা এই অলরাউন্ডার। সে সময় শূন্য রানে ব্যাট করছিলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক।
নিউ জিল্যান্ড দলে তিন পরিবর্তন
আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়া নিউ জিল্যান্ড দলে এসেছে তিনটি পরিবর্তন। বিশ্রাম শেষে একাদশে ফিরেছেন জিমি নিশাম ও হ্যামিশ বেনেট। ৩৮ বছর বয়সী অফ স্পিনার জিতান প্যাটেল সিরিজে খেলছেন প্রথমবারের মতো।
নিউ জিল্যান্ড দল: লুক রনকি, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), নিল ব্রুম, রস টেইলর, কোরি অ্যান্ডারসন, কলিন মানরো, জিমি নিশাম, ম্যাট হেনরি, মিচেল স্যান্টনার, হ্যামিশ বেনেট, জিতান প্যাটেল।
একাদশে নাসির
আগের ম্যাচে অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের জায়গায় দলে ফিরেছেন নাসির হোসেন। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন গত অক্টোবরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
আগেরবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অধিনায়কের সিদ্ধান্তে বিস্ময়ের কিছু নেই। শুরুতে উইকেটে থাকা সুবিধা কাজে লাগাতে চান মাশরাফি। তিনি মনে করছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সামনে ছয়ে ওঠার হাতছানি
প্রথমবারের মতো আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ছয় নম্বরে ওঠার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। তার জন্য জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করতে হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে। ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের বাইরে নিজেদের প্রথম জয়ে তাদের ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।
দেশের বাইরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের লক্ষ্য
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কখনও দেশটিকে ওয়ানডেতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেই জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া তারা।