মার্শাল-শাহরিয়ার হারিয়ে দিলেন আবাহনীকে

আগের রাউন্ডে হেরে গাজী গ্রুপ সুযোগ করে দিয়েছিল তাদেরকে ছোঁয়ার। কিন্তু পারল না কাছাকাছি থাকা আবাহনী। উল্টো শেষ রাউন্ডে আবাহনীকে হারিয়ে তাদের পাশাপাশি থেকেই সুপার লিগে গেল প্রাইম দোলেশ্বর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2017, 12:11 PM
Updated : 20 May 2017, 04:04 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রাথমিক পর্বের শেষ রাউন্ডে আবাহনী লিমিটেডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আবাহনীর ২৪৭ রান তাড়ায় দোলেশ্বর জিতেছে ১৭ বল বাকি রেখে।

শুরুতে বিপর্যয়ে পড়া আবাহনীকে দারুণ এক ইনিংস খেলে টেনে তোলেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। তবে সেটি যথেষ্ট হয়নি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মার্শাল আইয়ুব ও শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটে জিতে দোলেশ্বর।

এই দুই দলই সুপার লিগে গেল ১৬ পয়েন্ট নিয়ে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা গাজীর সামনে রোববার সুযোগ থাকছে ব্যবধান আবারও চার পয়েন্টে নেওয়ার।

দিনের পূর্বাভাস এদিন ছিল প্রভাতেই। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস এবার শুরুতেই কুপোকাত। লিগের সর্বোচ্চ রান স্কোরারকে শূন্য রানে ফেরান নতুন বল নেওয়া অফ স্পিনার হাবিবুর রহমান।

তিন তরুণ সাদমান, সাইফ ও শান্তও ব্যর্থ। ৫০ রানে আবাহনীর নেই ৪ উইকেট। বিপর্যয়ে ত্রাতা এই তরুণ ব্রিগেডের সবচেয়ে কনিষ্ঠজন। আরও একবার নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখলেন আফিফ হোসেন।

এবারের লিগে প্রথম সুযোগ পেয়ে গাজীর বিপক্ষে ৭৬ করেছিলেন। এরপর সেভাবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মিলেছে সামান্য। এদিন দলের প্রয়োজনের সময় খেললেন আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস।

পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটিতে উদ্ধার করেছেন আবাহনীকে। ৩৪ রান করে মিঠুন ফিরেছেন। পরে মনন শর্মার সঙ্গে আফিফের জুটি ৪৩ বলে ৪৬ রানের।

বিপর্যয়েও নিজের সহজাত ব্যাটিং করে গেছেন আফিফ। তবে শেষটা হতাশার; ১০৬ বলে ৯৪ রান করে ফরহাদ রেজার বলে আউট হয়েছেন ৪৮তম ওভারে। ১০টি চারের পাশে ১৭ বছর বয়সী বাঁহাতি ছক্কা মেরেছেন ৩টি।

আবাহনীর রানটা তবু ঠিক জুতসই ছিল না। শেষদিকে ১৭ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন মনন শর্মা ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ২৭ বলে ৩৪ করেন ভারতীয় মনন, ১২ বলে ২১ সাইফুদ্দিন।

রান তাড়ায় দোলেশ্বর পঞ্চাশ পেরুতেই হারায় দুই ওপেনারকে। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ২৯ করে রানরেট ধরে রেখেছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন।

এরপরই জয়ের পথে এগিয়ে নেওয়া জুটি। তৃতীয় উইকেটে মার্শাল ও শাহরিয়ার তোলেন ১০৯ বলে ৮৯।

তিনটি করে চার-ছক্কায় ৬৯ রান করে ফেরেন শাহরিয়ার নাফীস। পরের ওভারে শরিফুল্লাহ ফেরেন রান আউটে।

তবে মার্শাল ছিলেন বলে জোড়া ধাক্কায় নড়ে যায়নি দোলেশ্বর। তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকের আলির সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়েন ৭৭ বলে।

শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ৮৩ করে রান আউটে ফিরেছেন মার্শাল। দল তখন জয়ের কিনারে। সেখান থেকে জিততে বেগও পেতে হয়নি। জয়ের দোলায় সুপার লিগে দোলেশ্বর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আবাহনী: ৫০ ওভারে ২৪৬/৭ (লিটন ০, সাদমান ১৫, সাইফ ২৫, শান্ত ৬, মিঠুন ৩৪, আফিফ ৯৪, শুভগত ১০, মনন ৩৪*, সাইফুদ্দিন ২১*; ফরহাদ ১/৪৬, হাবিবুর ১/৩১, সানি ২/৩৪, শরিফুল্লাহ ১/৪৫, চতুরঙ্গা ০/৩৫, দেলোয়ার ০/৪১, ইমতিয়াজ ০/১১)।

প্রাইম দোলেশ্বর: ৪৭.১ ওভারে ২৪৭/৬ (ইমতিয়াজ ২৯, মজিদ ১২, শাহরিয়ার ৬৯, মার্শাল ৮৩, শরিফুল্লাহ ০, জাকের ৩৭, ফরহাদ রেজা ১১*, চতুরঙ্গা ৪*; আবু জায়েদ ৩/৬৪, সাইফুদ্দিন ০/৫১, মনন ১/৩৫, শুভাগত ০/৪৮, সাকলাইন ০/৪৯)।

ফল: প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৪ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মার্শাল আইয়ুব